ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ব্যারিস্টার নাজির ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে শিশুদের ফ্রি খৎনা প্রদান Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ফাতেমা খাতুন আদর্শ মহিলা মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে বৃদ্ধা ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলার ঘর দখলের অভিযোগ :প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ মাদরাসার ৬৬ তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন ২৮ ডিসেম্বর Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে সংবর্ধনা Logo সিলেটের বিশ্বনাথে হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের ২৯তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় দুই শিক্ষানুরাগীকে সংবর্ধনা Logo বিশ্বনাথে নব নিযুক্ত শিক্ষা অফিসার নাস্তিক মাহমুদুল হক অপসারণ ও অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্টিত Logo ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইসলামী মহাসম্মেলন থেকে ৯ দফা ঘোষণা Logo তাবলিগের রাহবার আলেমরা, অন্য কেউ নয়

মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার

ইসলামিক মিডিয়া ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩ ১১৬ বার পঠিত

মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা। রোববার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া দেশ-বিদেশের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এতে অংশ নেন। দু’হাত তুলে রবের কাছে আশ্রয় আর ক্ষমাপ্রার্থনা। লাখো মানুষের আমিন আমিন ধ্বনিতে যেন তুরাগ তীরের আকাশে-বাতাসে অশ্রুজলে বুক ভাসিয়ে মুসল্লিরা ।

মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলীগের শীর্ষ স্থানীয় মুরুব্বী হাফেজ মাওলানা কারী জুবায়ের আহমাদ। মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দান ছাপিয়ে মুসল্লিরা অবস্থান নেন টঙ্গী ও গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকায়। এর আগে এই মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকে ময়দানমুখী মুসল্লিদের স্রোত।

মহান আল্লাহকে রাজি-খুশি ও সন্তুষ্টির লাভের আশায় লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সমবেত হন টঙ্গীর তুরাগ তীরে। গত ১৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এতে অংশ নেয় তাবলীগ জামাতের কয়েক লাখ মুসল্লি।

শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বীদের বয়ান শুনতে তরুণ, যুবক, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মুসল্লি সমবেত হন টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে। একইভাবে, আগামী ২০ জানুয়ারি (শুক্রবার) বাদ ফজর ফের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব এবং একইভাবে আগামী ২২ জানুয়ারি (রোববার) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের (২০২৩ সালের) বিশ্ব ইজতেমা।

উলামায়ে কেরামের উদ্দেশ্যে মাওলানা ইবরাহীম দেওলা সাহেবের বয়ানের চম্বুকাংশ

এই উম্মতের মধ্যে দুই নেশা হবে ১. জাহালতের নেশা। ২. পার্থিব বিলাসিতার নেশা। আর নেশার হালতে ভালোমন্দ কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। জাহালতের নেশার কারণে উম্মত আজ আখেরাত, কবর, জান্নাত, জাহান্নামের কোনো ফিকির নাই। পার্থিব বিলাসিতার কারণে উম্মত তালীম থেকে বিমুখ হয়ে গেছে। এই দুই নেশা যখন উম্মতের মধ্যে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে তখন দ্বীনের কথা মূল্যায়ন থাকবে না। এই কঠিন সময়ে নিজের ফিকিরের কথা বলা হয়েছে।

ইলমের পাত্র দুইটি ১. কলব ২. নফস। কলবের ইলম উপকারী নফসের ইলম ক্ষতিকর। নফসে নয়, বরং ইলমকে কলবে বসাও। কলবের ইলমের দ্বারা আখলাক, যুহদ, তাওয়াজু, ফিকরে আখেরাত পয়দা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কলবের উপর ইলম নাযিল হয়েছে। নফসের ইলম দ্বারা

দাওয়াতের কাজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুইটি জিনিষের ব্যবহার করেছেন, ১. ইলম ২. আখলাক। এই দুই জিনিসের দ্বারা সব জাহিলিয়াত ধ্বংস করেছেন।

নবীদের তরীকা যারা তলব নিয়ে আসতেন তাদের তালীম দিতেন। যাদের তলব নাই তাদের দাওয়াত দিতেন।

আলী রাযি. বলতেন, লাহব লা’বের মজলিস কুরআন ভূলিয়ে দেয়। মোবাইল ফোন অনর্থক বস্তু। এইজন্য মোবাইলের পিছনে সময় বেশি দেওয়ার কারণে কুরআন তেলাওয়াত ভুলে যাচ্ছে।

উলামায়ে কেরামের কাছে দুই আবেদন ১. আহলে মাকাম নেতৃত্ব পর্যায়ের উলামায়ে কেরামের কাছে সমর্থন ২. আহলে খেদমত উলামায়ে কেরামের কাছে, তাআউন অর্থাৎ সময় লাগানোর দ্বারা সাহায্য করা।

ট্যাগস :

ফেসবুকে আমরা

মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় শেষ হলো বিশ্ব ইজতেমার

আপডেট সময় : ১০:৩৩:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৩

মুসলিম উম্মার শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় আখেরি মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হলো ৫৬তম বিশ্ব ইজতেমা। রোববার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া দেশ-বিদেশের লাখো ধর্মপ্রাণ মুসল্লি এতে অংশ নেন। দু’হাত তুলে রবের কাছে আশ্রয় আর ক্ষমাপ্রার্থনা। লাখো মানুষের আমিন আমিন ধ্বনিতে যেন তুরাগ তীরের আকাশে-বাতাসে অশ্রুজলে বুক ভাসিয়ে মুসল্লিরা ।

মোনাজাত পরিচালনা করেন তাবলীগের শীর্ষ স্থানীয় মুরুব্বী হাফেজ মাওলানা কারী জুবায়ের আহমাদ। মোনাজাতে অংশ নিতে ইজতেমা ময়দান ছাপিয়ে মুসল্লিরা অবস্থান নেন টঙ্গী ও গাজীপুরসহ আশপাশের এলাকায়। এর আগে এই মোনাজাতে অংশ নিতে ভোর থেকে ময়দানমুখী মুসল্লিদের স্রোত।

মহান আল্লাহকে রাজি-খুশি ও সন্তুষ্টির লাভের আশায় লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসল্লি সমবেত হন টঙ্গীর তুরাগ তীরে। গত ১৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) বাদ ফজর আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। এতে অংশ নেয় তাবলীগ জামাতের কয়েক লাখ মুসল্লি।

শীর্ষস্থানীয় মুরুব্বীদের বয়ান শুনতে তরুণ, যুবক, বৃদ্ধসহ বিভিন্ন বয়সের মুসল্লি সমবেত হন টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে। একইভাবে, আগামী ২০ জানুয়ারি (শুক্রবার) বাদ ফজর ফের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব এবং একইভাবে আগামী ২২ জানুয়ারি (রোববার) আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের (২০২৩ সালের) বিশ্ব ইজতেমা।

উলামায়ে কেরামের উদ্দেশ্যে মাওলানা ইবরাহীম দেওলা সাহেবের বয়ানের চম্বুকাংশ

এই উম্মতের মধ্যে দুই নেশা হবে ১. জাহালতের নেশা। ২. পার্থিব বিলাসিতার নেশা। আর নেশার হালতে ভালোমন্দ কোনো হিতাহিত জ্ঞান থাকে না। জাহালতের নেশার কারণে উম্মত আজ আখেরাত, কবর, জান্নাত, জাহান্নামের কোনো ফিকির নাই। পার্থিব বিলাসিতার কারণে উম্মত তালীম থেকে বিমুখ হয়ে গেছে। এই দুই নেশা যখন উম্মতের মধ্যে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে তখন দ্বীনের কথা মূল্যায়ন থাকবে না। এই কঠিন সময়ে নিজের ফিকিরের কথা বলা হয়েছে।

ইলমের পাত্র দুইটি ১. কলব ২. নফস। কলবের ইলম উপকারী নফসের ইলম ক্ষতিকর। নফসে নয়, বরং ইলমকে কলবে বসাও। কলবের ইলমের দ্বারা আখলাক, যুহদ, তাওয়াজু, ফিকরে আখেরাত পয়দা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর কলবের উপর ইলম নাযিল হয়েছে। নফসের ইলম দ্বারা

দাওয়াতের কাজে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দুইটি জিনিষের ব্যবহার করেছেন, ১. ইলম ২. আখলাক। এই দুই জিনিসের দ্বারা সব জাহিলিয়াত ধ্বংস করেছেন।

নবীদের তরীকা যারা তলব নিয়ে আসতেন তাদের তালীম দিতেন। যাদের তলব নাই তাদের দাওয়াত দিতেন।

আলী রাযি. বলতেন, লাহব লা’বের মজলিস কুরআন ভূলিয়ে দেয়। মোবাইল ফোন অনর্থক বস্তু। এইজন্য মোবাইলের পিছনে সময় বেশি দেওয়ার কারণে কুরআন তেলাওয়াত ভুলে যাচ্ছে।

উলামায়ে কেরামের কাছে দুই আবেদন ১. আহলে মাকাম নেতৃত্ব পর্যায়ের উলামায়ে কেরামের কাছে সমর্থন ২. আহলে খেদমত উলামায়ে কেরামের কাছে, তাআউন অর্থাৎ সময় লাগানোর দ্বারা সাহায্য করা।