হযরত উমর রায়ি: এর এক আশ্চর্য ঘটনা
- আপডেট সময় : ০৯:০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩ ১৬৭ বার পঠিত
মিশরবাসীরা নীলদের পানি দিয়েই ক্ষেত- খামারে সেচ দিত। কিন্তু বছরের এক সময় নদীর পানি শুকিয়ে গেল এবং নদীতে জোয়ার আসা বন্ধ হয়ে গেল। পানির অভাবে ফসল নষ্ট হতে লাগল। এ অবস্থা দেখে মিশরের তৎকালীন গভর্নর হযরত আমার বিন আস রাযি: এর নিকট মিশরবাসীরা এসে বলল, পূর্বে যখন এমন হতো আমরা এক সুন্দরী যুবতীকে নদীতে উৎসর্গ করে দিতাম, সাথে সাথে নদীতে পানি ভরে আসত। গভর্নর বললেন, এ ধরনের কাজ ইসলাম অনুমোদন করে না। আমি খলীফাকে লিখছিল তিনি এর সমাধান দিবেন।
হযরত আমর বিন আস রাযি: বিস্তারিত ঘটনা উমর রাযি: এর নিকট লিখে পাঠালেন, উমর রাযি: নীলনদের নামে আদেশ জারী করে নি¤œরূপ চিঠি লিখে দিলেন-
‘‘হে নীলনদ! তুমি যদি আল্লাহর হুকুমে প্রবাহিত হয়ে থাক তাহলে পত্র পাওয়া মাত্র পুনরায় আল্লাহর হুকুমে জারী হয়ে যাও। আর যদি শয়তানের আদেশে চল তবে তোমার পানির আমাদের কোন প্রয়োজন নাই। আল্লাহর তাআলা আমাদের রাজ্জাক’’
এই চিঠি দেখে ইসলাম দুশমনরা বিদ্রুপ করছিল যে, দেখ নদীর উপরও হুকমত চালাচ্ছে দেখছি। কিন্তু-
আল্লাহওয়ালাগণ যা বলেন, বুঝে শুনেই বলেন। নদী হুকুম পালন না করলে ইজ্জত বিনষ্ট হবে এমন কোন ধারণাও হযরত উমরের মনে ছিল না। হযরত আমার বিন আস রাযি: ঘোষণা পত্রের মাধ্যমে উমরের দেয়া চিরকুট নিয়ে নদীর দিকে রওয়ানা হলেন। বিরোধীরাও সব সাথেই ছিল। এরা হাসাহাসি করে বলতে লাগল, আচ্ছা বল তো দেখি এই চিরকুটের সাথে নীলনদের জোয়ারের কি সম্পর্ক থাকতে পারে? কিন্তু ঐ চিরকুট নদীতে ফেলার সাথে সাথে জোয়ার এসে দুকূল ভরে নদী প্রবাহিত হতে লাগল।
যারা আল্লাহ এবং রাসূলের অনুগত হয় সকল বস্তু তার বাধ্যতা স্বীকার করে নেয়।