ঢাকা ১০:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ব্যারিস্টার নাজির ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে শিশুদের ফ্রি খৎনা প্রদান Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ফাতেমা খাতুন আদর্শ মহিলা মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে বৃদ্ধা ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলার ঘর দখলের অভিযোগ :প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ মাদরাসার ৬৬ তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন ২৮ ডিসেম্বর Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে সংবর্ধনা Logo সিলেটের বিশ্বনাথে হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের ২৯তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় দুই শিক্ষানুরাগীকে সংবর্ধনা Logo বিশ্বনাথে নব নিযুক্ত শিক্ষা অফিসার নাস্তিক মাহমুদুল হক অপসারণ ও অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্টিত Logo ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইসলামী মহাসম্মেলন থেকে ৯ দফা ঘোষণা Logo তাবলিগের রাহবার আলেমরা, অন্য কেউ নয়

জীবনকে সাজাতে হবে ধর্মের আলোকে

ইসলামিক মিডিয়া ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১১:২৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪১ বার পঠিত

মুহাম্মদ নূর উদ্দিন

ধর্ম ও বিশ্বাস মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান। ধর্ম হচ্ছে ব্যক্তিজীবন পরিশুদ্ধ করার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে সমাজ নিয়ন্ত্রণের মোক্ষম হাতিয়ার স্বরূপ। যার মাঝে ধর্মীয় বিশ্বাস নেই সে অনেকটা মানসিক বিকারগ্রস্ত রোগীর মতো জীবন যাপন করে। কারণ একজন মানুষের জীবনে যে অসীম চাহিদা ও লক্ষ্য থাকে, তার সবটুকু এই স্বল্প জীবনের মধ্যে পূরণ করা সম্ভব হয় না। যার ফলে সে হতাশায় ভুগতে থাকে। আর এই হতাশার প্রতিক্রিয়া সে নানা ধরণের সমাজ বিরুদ্ধ কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করে। পরিশেষে আত্মহত্যার মতো জীবন বিনাশী কাজ করতে উদ্ধত হয়। অপরদিকে ধর্মীয় বিশ্বাসবোধ সম্পন্ন মানুষ যে পরকাল বিশ্বাসী হয়, তার সবগুলো আশা আকাঙ্খা যদি এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াতে পূরণ নাও হয় তারপরও সে আশার মাঝে থেকে নিয়ম শৃৃৃঙ্খলার মধ্যে জীবন যাপন করে। কারণ সে বিশ্বাস করে, তার জন্য আরেকটি মনোরম জগত অপেক্ষা করছে, যেখানে তার অপূর্ণ ইচ্ছা ও চাহিদাগুলো পূরণ হবে। ফলে সে চিন্তা করে এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াতে তার সব আশা আকঙ্খার বস্তু না পেলেও ক্ষতি নেই, কিন্তু পরকালে তার আকাঙ্খিত বস্তু চাই-ই চাই। এজন্য সে ধর্মীয় চিন্তা লালন করেই তার জীবনকে সাজায়।
বিজ্ঞানীদের মতে, যখন একজন মানুষের দ্বারা কোনো অপরাধ সংগঠিত হয়, তখন তার মাঝে ঐ সংগঠিত অপরাধের জন্য আইনের মাধ্যমে যে শাস্তির বিধান আছে তা আর কাজ করে না অথবা মানুষের তৈরী আইন ক্ষমতাসীনদের স্বার্থে যে কোনো মুহূর্তে পরিবর্তন করা যায়। ফলে চাইলেই রায় তার পক্ষে নিতে পারে কিংবা সে চিন্তা করে কিভাবে আইনের চোখ ফাঁকি দেওয়া যাবে। ঠিক ঐ সময়ে যদি তার মধ্যে মৃত্যুর ভয় বা পরকালের কঠিন শাস্তির ভয় থাকে, তাহলে সে অপরাধ করবে না। কারণ তাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। যা মনুষ্য সৃষ্ট কোনো ভয়ের মাধ্যমে সম্ভব নয়।
অন্যদিকে একজন অবিশ্বাসী মানুষ যার চিন্তার ব্যাপ্তি হচ্ছে এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াকে কেন্দ্র করে, যার চাহিদা হচ্ছে এই পৃথিবীর ভোগের সামগ্রীগুলো। সে যে কোনো মূল্যে এই পৃথিবীর জীবনকে উপভোগ্য করে তুলতে চাইবে। বৈধ হোক কিংবা অবৈধ কোনো কিছুর বাছ বিচার সে করবে না। কারণ তার পরকালে সৃষ্টিকর্তার সম্মুখে দাঁড়ানোর ভয় নেই। জবাবদিহিতার চিন্তা তার অন্তরে নেই। তাহলে সে কেন অপরাধ থেকে নিবৃত থাকবে? অবিশ্বাসীদের হাতে নারী নির্যাতনের সংখ্যা ধার্মীকদের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। সমকামিতা, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক এগুলো তো পানির মতো সহজ কাজ। অথচ এই বিষয়ে মুমিনদের আল্লাহ তায়ালা কঠিন থেকে কঠিনতর হুশিয়ারি দিয়েছেন। ফলে মুমিনরা বরাবরই এই বিষয় থেকে দূরে থাকে।
এজন্য সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ রাখা জরুরী। চিন্তায় রাখতে হবে যে আল্লাহ আপনাকে প্রত্যেকটি মুহূর্ত দেখছেন। তখন আর ভালো থাকার জন্য এত অভিনয় করা লাগবে না। তখন মহাকাশে গিয়েও অপরাধ করার সাহস হবে না। কারণ একটাই সৃষ্টিকর্তা দেখছেন। মানুষ যখন প্রতিদিন মসজিদে যায় তখন সমাজের অন্যদের সাথেও দেখা হয়, এতে করে নিজেদের মাঝে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী হয়। যার ফলশ্রুতিতে সমাজের অপরাধের হার কমে যায়। ধর্মীয় অনুভূতিই অপরাধ দমনে সিংহভাগ কাজ করে। সুতরাং সুখি-সুন্দর ও অপরাধমুক্ত হতে চাইলে জীবনকে সাজাতে হবে ধর্মের আলোকে।

ট্যাগস :

ফেসবুকে আমরা

জীবনকে সাজাতে হবে ধর্মের আলোকে

আপডেট সময় : ১১:২৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

মুহাম্মদ নূর উদ্দিন

ধর্ম ও বিশ্বাস মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাব বিস্তারকারী উপাদান। ধর্ম হচ্ছে ব্যক্তিজীবন পরিশুদ্ধ করার মাধ্যমে সুষ্ঠুভাবে সমাজ নিয়ন্ত্রণের মোক্ষম হাতিয়ার স্বরূপ। যার মাঝে ধর্মীয় বিশ্বাস নেই সে অনেকটা মানসিক বিকারগ্রস্ত রোগীর মতো জীবন যাপন করে। কারণ একজন মানুষের জীবনে যে অসীম চাহিদা ও লক্ষ্য থাকে, তার সবটুকু এই স্বল্প জীবনের মধ্যে পূরণ করা সম্ভব হয় না। যার ফলে সে হতাশায় ভুগতে থাকে। আর এই হতাশার প্রতিক্রিয়া সে নানা ধরণের সমাজ বিরুদ্ধ কাজের মাধ্যমে প্রকাশ করে। পরিশেষে আত্মহত্যার মতো জীবন বিনাশী কাজ করতে উদ্ধত হয়। অপরদিকে ধর্মীয় বিশ্বাসবোধ সম্পন্ন মানুষ যে পরকাল বিশ্বাসী হয়, তার সবগুলো আশা আকাঙ্খা যদি এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াতে পূরণ নাও হয় তারপরও সে আশার মাঝে থেকে নিয়ম শৃৃৃঙ্খলার মধ্যে জীবন যাপন করে। কারণ সে বিশ্বাস করে, তার জন্য আরেকটি মনোরম জগত অপেক্ষা করছে, যেখানে তার অপূর্ণ ইচ্ছা ও চাহিদাগুলো পূরণ হবে। ফলে সে চিন্তা করে এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াতে তার সব আশা আকঙ্খার বস্তু না পেলেও ক্ষতি নেই, কিন্তু পরকালে তার আকাঙ্খিত বস্তু চাই-ই চাই। এজন্য সে ধর্মীয় চিন্তা লালন করেই তার জীবনকে সাজায়।
বিজ্ঞানীদের মতে, যখন একজন মানুষের দ্বারা কোনো অপরাধ সংগঠিত হয়, তখন তার মাঝে ঐ সংগঠিত অপরাধের জন্য আইনের মাধ্যমে যে শাস্তির বিধান আছে তা আর কাজ করে না অথবা মানুষের তৈরী আইন ক্ষমতাসীনদের স্বার্থে যে কোনো মুহূর্তে পরিবর্তন করা যায়। ফলে চাইলেই রায় তার পক্ষে নিতে পারে কিংবা সে চিন্তা করে কিভাবে আইনের চোখ ফাঁকি দেওয়া যাবে। ঠিক ঐ সময়ে যদি তার মধ্যে মৃত্যুর ভয় বা পরকালের কঠিন শাস্তির ভয় থাকে, তাহলে সে অপরাধ করবে না। কারণ তাকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। যা মনুষ্য সৃষ্ট কোনো ভয়ের মাধ্যমে সম্ভব নয়।
অন্যদিকে একজন অবিশ্বাসী মানুষ যার চিন্তার ব্যাপ্তি হচ্ছে এই ক্ষণস্থায়ী দুনিয়াকে কেন্দ্র করে, যার চাহিদা হচ্ছে এই পৃথিবীর ভোগের সামগ্রীগুলো। সে যে কোনো মূল্যে এই পৃথিবীর জীবনকে উপভোগ্য করে তুলতে চাইবে। বৈধ হোক কিংবা অবৈধ কোনো কিছুর বাছ বিচার সে করবে না। কারণ তার পরকালে সৃষ্টিকর্তার সম্মুখে দাঁড়ানোর ভয় নেই। জবাবদিহিতার চিন্তা তার অন্তরে নেই। তাহলে সে কেন অপরাধ থেকে নিবৃত থাকবে? অবিশ্বাসীদের হাতে নারী নির্যাতনের সংখ্যা ধার্মীকদের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। সমকামিতা, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক এগুলো তো পানির মতো সহজ কাজ। অথচ এই বিষয়ে মুমিনদের আল্লাহ তায়ালা কঠিন থেকে কঠিনতর হুশিয়ারি দিয়েছেন। ফলে মুমিনরা বরাবরই এই বিষয় থেকে দূরে থাকে।
এজন্য সর্বদা আল্লাহকে স্মরণ রাখা জরুরী। চিন্তায় রাখতে হবে যে আল্লাহ আপনাকে প্রত্যেকটি মুহূর্ত দেখছেন। তখন আর ভালো থাকার জন্য এত অভিনয় করা লাগবে না। তখন মহাকাশে গিয়েও অপরাধ করার সাহস হবে না। কারণ একটাই সৃষ্টিকর্তা দেখছেন। মানুষ যখন প্রতিদিন মসজিদে যায় তখন সমাজের অন্যদের সাথেও দেখা হয়, এতে করে নিজেদের মাঝে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক তৈরী হয়। যার ফলশ্রুতিতে সমাজের অপরাধের হার কমে যায়। ধর্মীয় অনুভূতিই অপরাধ দমনে সিংহভাগ কাজ করে। সুতরাং সুখি-সুন্দর ও অপরাধমুক্ত হতে চাইলে জীবনকে সাজাতে হবে ধর্মের আলোকে।