ঢাকা ০৯:২১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ব্যারিস্টার নাজির ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে শিশুদের ফ্রি খৎনা প্রদান Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ফাতেমা খাতুন আদর্শ মহিলা মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে বৃদ্ধা ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলার ঘর দখলের অভিযোগ :প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ মাদরাসার ৬৬ তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন ২৮ ডিসেম্বর Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে সংবর্ধনা Logo সিলেটের বিশ্বনাথে হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের ২৯তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় দুই শিক্ষানুরাগীকে সংবর্ধনা Logo বিশ্বনাথে নব নিযুক্ত শিক্ষা অফিসার নাস্তিক মাহমুদুল হক অপসারণ ও অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্টিত Logo ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইসলামী মহাসম্মেলন থেকে ৯ দফা ঘোষণা Logo তাবলিগের রাহবার আলেমরা, অন্য কেউ নয়

কে সে জন?

ইসলামিক মিডিয়া ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১০:১১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ১৪০ বার পঠিত

সাদিয়া আক্তার

আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে। কাজেই মানুষ তার সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করবে এবং তার পালনকর্তা তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তাকে জান্নাত দিবেন। এজন্য ইবাদত হওয়া চাই একনিষ্ঠ ও এখলাসপূর্ণ। এখলাস নির্ভর করে বিশ্বাসের বিশুদ্ধতার উপর। অতএব, অন্তরে এই বিশ্বাস দৃঢ় করা যে, আল্লাহ সর্বদা হাজির-নাজির। তিনিই সমস্ত পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীতে যত জীব জন্তু আছে, সব কিছুর রিজিক দাতা একমাত্র তিনিই। এই বিশ্বাস অন্তরে দৃঢ় হবে সৃষ্টিজগত নিয়ে চিন্তা করার দ্বারা।
উদাহরণত: আমরা চোখ নিয়ে চিন্তা করলে আল্লাহর কুদরতের মহিমা দেখতে পাবো। আল্লাহ তায়ালা সাদা পাথরের ভিতর কালো একটি মারবেল রেখে এতে কি সুন্দর দৃষ্টিশক্তি রেখে দিয়েছেন। যে দৃষ্টি দ্বারা আমরা সুন্দর-অসুন্দরের পার্থক্য করতে পারি। বুঝে নিতে পারি আলো অন্ধকার। অনুভব করতে পারি বস্তুর রূপ ও রঙ। গাছপালা, খাল-বিল, নদ-নদী, পশু-পাখী, পাহাড়-পর্বত, আসমান-জমীন, ফুল-ফল ইত্যাদি দেখতে পারি। মাতা-পিতা, ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজনকে চিনতে পারি। এক কথায় আল্লাহর অসংখ্য অগণিত নিয়ামত দেখতে পারি। এমনিভাবে আমরা যদি আমাদের দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা গবেষণা করি, তাহলে অবশ্যই আমরা বুঝতে পারব এসব কিছু মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর কুদরতি ক্ষমতা দ্বারা সৃষ্টি করেছেন।
তাছাড়া এই পৃথিবীর আরো অনেক কিছুর প্রতি গভীরভাবে তাকালে সৃষ্টিকর্তার পরিচয় পাওয়া যায়। যেমন- একটি প্রজাপতিকে কে এত সুন্দর রং দিয়ে সাজিয়েছেন? তার ডানা দু’টিকে কে এত নিপুনভাবে নকশা করে রেখেছেন? যার দিকে দৃষ্টি করলে দেখা যায়, উভয় ডানার নকশার মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। কুকিলের কণ্ঠে সুরের মালা কে পরিয়ে দিয়েছেন? যে সুরের দ্বারা সে বসন্তকালে গান গেয়ে মানুষের মন প্রফুল্ল রাখে। কে দিলেন মোরগের মাথায় অপূর্ব এক লাল ঝুটি? কার ইশারায় বাতাস বয়ে চলে দূর অদূরে? যার কারণে সবুজ গাছ-গাছালি আপন মনে দুলতে থাকে। কার ইশারায় নদীর পানিতে ঢেউ খেলে যায়? কার কথায় প্রতিদিন সূর্য উঠে এবং অস্ত যায়? কে রাতে চাঁদ ও তারা দিয়ে আকাশকে মনোহরভাবে সাজিয়ে রাখেন? ফুলের মধ্যে এত ঘ্রাণ কোথা থেকে এল? ফলের মধ্যে এত স্বাদ কে রেখে দিলেন? এই মনোমুগ্ধকর, অপূর্ব ও দৃষ্টিকারা ভূবনের মালিক কে? তিনি অবশ্যই একজন আছেন। কিন্তু কে সে জন? তিনিই হলেন মহান আল্লাহ তায়ালা।
এমনিভাবে আমরা যদি মানুষের প্রস্তুতকৃত জিনিসের প্রতি গভীর দৃষ্টিতে তাকাই তবে এতেও আমরা আমাদের স্রষ্টার পরিচয় পেয়ে যাব। যেমন- কাঠের তৈরী আসবাবপত্র। চেয়ার-টেবিল ইত্যাদি। আর এই চেয়ার টেবিল অবশ্যই কোনো না কোনো মিস্ত্রি তৈরী করেছে। আর মিস্ত্রি তা তৈরী করেছে কাঠ দিয়ে। আর কাঠ পাওয়ার মাধ্যম হল গাছ। আর এই গাছ কোথা থেকে এল? কে এর সৃষ্টিকর্তা। আর এই মিস্ত্রির মাথায় কে এত বৃদ্ধি দিলেন? যে জ্ঞানের সাহায্যে সে গাছ থেকে কাঠ বের করে বিভিন্ন রকম আসবাব পত্র তৈরী করে থাকে। ইনিই হলেন মহান জ্ঞানী আল্লাহ তায়ালা। এভাবে প্রতিটি বিষয় নিয়ে চিন্তা করলে দেখা যাবে এসব কিছুর পিছনে সুক্ষ্মকারীগর মহান আল্লাহ রয়েছেন।
বর্তমানে দেখা যায় বৈজ্ঞানিকরা বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বের করেছে। মোবাইল, কম্পিউটার, প্লেইন, রোবট ইত্যাদি। এসব জিনিস তৈরী করার জ্ঞানও আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন। এই সব গবেষণায় আমাদের অন্তরে আল্লাহর মারেফাত হাসিল হবে। ইবাদতে মন বসবে। অর্জিত হবে এখলাস। সুতরাং আমাদের অন্তর হোক মারেফাতের মারকাজ। ইবাদত হোক এখলাসপূর্ণ।
লেখক : শিক্ষার্থী,

ট্যাগস :

ফেসবুকে আমরা

কে সে জন?

আপডেট সময় : ১০:১১:২০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২২

সাদিয়া আক্তার

আল্লাহ তায়ালা মানবজাতিকে সৃষ্টি করেছেন আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে। কাজেই মানুষ তার সৃষ্টিকর্তার ইবাদত করবে এবং তার পালনকর্তা তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তাকে জান্নাত দিবেন। এজন্য ইবাদত হওয়া চাই একনিষ্ঠ ও এখলাসপূর্ণ। এখলাস নির্ভর করে বিশ্বাসের বিশুদ্ধতার উপর। অতএব, অন্তরে এই বিশ্বাস দৃঢ় করা যে, আল্লাহ সর্বদা হাজির-নাজির। তিনিই সমস্ত পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন। পৃথিবীতে যত জীব জন্তু আছে, সব কিছুর রিজিক দাতা একমাত্র তিনিই। এই বিশ্বাস অন্তরে দৃঢ় হবে সৃষ্টিজগত নিয়ে চিন্তা করার দ্বারা।
উদাহরণত: আমরা চোখ নিয়ে চিন্তা করলে আল্লাহর কুদরতের মহিমা দেখতে পাবো। আল্লাহ তায়ালা সাদা পাথরের ভিতর কালো একটি মারবেল রেখে এতে কি সুন্দর দৃষ্টিশক্তি রেখে দিয়েছেন। যে দৃষ্টি দ্বারা আমরা সুন্দর-অসুন্দরের পার্থক্য করতে পারি। বুঝে নিতে পারি আলো অন্ধকার। অনুভব করতে পারি বস্তুর রূপ ও রঙ। গাছপালা, খাল-বিল, নদ-নদী, পশু-পাখী, পাহাড়-পর্বত, আসমান-জমীন, ফুল-ফল ইত্যাদি দেখতে পারি। মাতা-পিতা, ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজনকে চিনতে পারি। এক কথায় আল্লাহর অসংখ্য অগণিত নিয়ামত দেখতে পারি। এমনিভাবে আমরা যদি আমাদের দেহের প্রতিটি অঙ্গ-প্রতঙ্গ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা গবেষণা করি, তাহলে অবশ্যই আমরা বুঝতে পারব এসব কিছু মহান রাব্বুল আলামীন তাঁর কুদরতি ক্ষমতা দ্বারা সৃষ্টি করেছেন।
তাছাড়া এই পৃথিবীর আরো অনেক কিছুর প্রতি গভীরভাবে তাকালে সৃষ্টিকর্তার পরিচয় পাওয়া যায়। যেমন- একটি প্রজাপতিকে কে এত সুন্দর রং দিয়ে সাজিয়েছেন? তার ডানা দু’টিকে কে এত নিপুনভাবে নকশা করে রেখেছেন? যার দিকে দৃষ্টি করলে দেখা যায়, উভয় ডানার নকশার মাঝে কোনো পার্থক্য নেই। কুকিলের কণ্ঠে সুরের মালা কে পরিয়ে দিয়েছেন? যে সুরের দ্বারা সে বসন্তকালে গান গেয়ে মানুষের মন প্রফুল্ল রাখে। কে দিলেন মোরগের মাথায় অপূর্ব এক লাল ঝুটি? কার ইশারায় বাতাস বয়ে চলে দূর অদূরে? যার কারণে সবুজ গাছ-গাছালি আপন মনে দুলতে থাকে। কার ইশারায় নদীর পানিতে ঢেউ খেলে যায়? কার কথায় প্রতিদিন সূর্য উঠে এবং অস্ত যায়? কে রাতে চাঁদ ও তারা দিয়ে আকাশকে মনোহরভাবে সাজিয়ে রাখেন? ফুলের মধ্যে এত ঘ্রাণ কোথা থেকে এল? ফলের মধ্যে এত স্বাদ কে রেখে দিলেন? এই মনোমুগ্ধকর, অপূর্ব ও দৃষ্টিকারা ভূবনের মালিক কে? তিনি অবশ্যই একজন আছেন। কিন্তু কে সে জন? তিনিই হলেন মহান আল্লাহ তায়ালা।
এমনিভাবে আমরা যদি মানুষের প্রস্তুতকৃত জিনিসের প্রতি গভীর দৃষ্টিতে তাকাই তবে এতেও আমরা আমাদের স্রষ্টার পরিচয় পেয়ে যাব। যেমন- কাঠের তৈরী আসবাবপত্র। চেয়ার-টেবিল ইত্যাদি। আর এই চেয়ার টেবিল অবশ্যই কোনো না কোনো মিস্ত্রি তৈরী করেছে। আর মিস্ত্রি তা তৈরী করেছে কাঠ দিয়ে। আর কাঠ পাওয়ার মাধ্যম হল গাছ। আর এই গাছ কোথা থেকে এল? কে এর সৃষ্টিকর্তা। আর এই মিস্ত্রির মাথায় কে এত বৃদ্ধি দিলেন? যে জ্ঞানের সাহায্যে সে গাছ থেকে কাঠ বের করে বিভিন্ন রকম আসবাব পত্র তৈরী করে থাকে। ইনিই হলেন মহান জ্ঞানী আল্লাহ তায়ালা। এভাবে প্রতিটি বিষয় নিয়ে চিন্তা করলে দেখা যাবে এসব কিছুর পিছনে সুক্ষ্মকারীগর মহান আল্লাহ রয়েছেন।
বর্তমানে দেখা যায় বৈজ্ঞানিকরা বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বের করেছে। মোবাইল, কম্পিউটার, প্লেইন, রোবট ইত্যাদি। এসব জিনিস তৈরী করার জ্ঞানও আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন। এই সব গবেষণায় আমাদের অন্তরে আল্লাহর মারেফাত হাসিল হবে। ইবাদতে মন বসবে। অর্জিত হবে এখলাস। সুতরাং আমাদের অন্তর হোক মারেফাতের মারকাজ। ইবাদত হোক এখলাসপূর্ণ।
লেখক : শিক্ষার্থী,