সিলেটের বিশ্বনাথে পৌর মেয়রের অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালো পৌর আওয়ামী লীগ
- আপডেট সময় : ০৮:৪১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ অগাস্ট ২০২৩ ১৮৬ বার পঠিত
বহুল আলোচিত সিলেটের ‘বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান’ কর্তৃক আওয়ামী লীগ, প্রশাসন, সাংবাদিক, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন মহলের বিরুদ্ধে অশালীন ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে গতকাল পৌর আওয়ামীলীগের আহবায়ক আব্দুল জলিল জালাল, যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন ও মহব্বত আলী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
প্রতিবাদ লিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বিগত কিছু দিন যাবত বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার ও বিভিন্ন সভা সমাবেশে বক্তব্য বিবৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রতীকে তৃনমূল পর্যায়ে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে এবং স্থানীয় নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে অশালীন ও কুরুচিপূর্ন বক্তব্য, বিবৃতি দিয়ে আসছেন। তাঁর বক্তব্য বিবৃতিতে জনপ্রতিনিধি, বিশ্বনাথ উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, শিক্ষক, আলীম সমাজ, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষ আত্মসম্মান নিয়ে চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
প্রতিবাদ লিপিতে আরো উল্রেখ করা হয় যে, দলচুট ও আওয়ামী লীগ বিদ্বেষী, বহুল আলোচিত দূর্নীতি মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামী বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমানের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ উপজেলা ও পৌরবাসীসহ দেশ-বিদেশের মানুষজন। উল্লেখ্য, মুহিবুর রহমান জাতীয় পার্টির রাজনীতির মাধ্যমে ১৯৮৪ সালে বির্তকিত রাজনৈতিক জীবন শুরুর পরবর্তীতে বিভিন্ন ঘাত প্রতিঘাতে আত্মরক্ষার্থে বিগত ২০০৪ সালে মুচলেখা দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করার পরবর্তীতে বির্তকিত আচরনের কারণে এবং ২০০৮ সালে নৌকার মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নমিনেশন দাখিল ও পরবর্তীতে প্রত্যাহার করে ২০০৮ সালের নির্বাচনে প্রত্যেক্ষভাবে বিএনপি সমর্থিত ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থীকে সমর্থন করেন। জনরায়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট ২ (বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর) আসনের এমপি নির্বাচিত হওয়ার পরবর্তীতে ২০০৮ সালে দলীয় প্রার্থীর বিরোধীতায় আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহন করায় দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সিন্ধান্তে তাকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়। আর ওই বহিস্কার আদেশ বহাল থাকাবস্থায় এখন পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করার জন্য নানান অপকৌশল করে যাচ্ছেন। এতে আওয়ামী লীগের সহজ-সরল তৃণমূল নেতৃবৃন্দ বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
এছাড়া সকল স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তথা নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সকল নির্বাচনে অংশ গ্রহন করে আসছেন। তাহার বক্তব্য থেকে প্রতিয়মান হয় যে, তিনি বিএনপি-জামায়াতের এজেন্ট হিসাবে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন অথবা তিনি উম্মাদ, মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভোগছেন। তাহার এহেন আচরন স্থানীয় আওয়ামী লীগের দৃষ্টি গোচর হওয়ায় বিশ্বনাথ পৌর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে তাহার অন্যায় ও বেআইনী কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার জন্য সর্তক করা হচ্ছে। অন্যথায় যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ভার তাকেই (পৌর মেয়র মুহিব) বহন করতে হবে।