ঢাকা ০৯:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ব্যারিস্টার নাজির ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে শিশুদের ফ্রি খৎনা প্রদান Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ফাতেমা খাতুন আদর্শ মহিলা মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে বৃদ্ধা ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলার ঘর দখলের অভিযোগ :প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ মাদরাসার ৬৬ তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন ২৮ ডিসেম্বর Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে সংবর্ধনা Logo সিলেটের বিশ্বনাথে হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের ২৯তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় দুই শিক্ষানুরাগীকে সংবর্ধনা Logo বিশ্বনাথে নব নিযুক্ত শিক্ষা অফিসার নাস্তিক মাহমুদুল হক অপসারণ ও অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্টিত Logo ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইসলামী মহাসম্মেলন থেকে ৯ দফা ঘোষণা Logo তাবলিগের রাহবার আলেমরা, অন্য কেউ নয়

সিলেটের বিশ্বনাথে পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

ইসলামিক মিডিয়া ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১১:৩২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩ ৪১৬ বার পঠিত

সিলেটের বিশ্বনাথে জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন মাদ্রাসা অফিসে অনুষ্ঠিত
হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শিব্বির আহমদ বলেন, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া বিশ্বনাথ দেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশ বিদেশে ইসলামের বহুমুখি খেদমত আঞ্জাম দিয়ে আসছে।
বালক-বালিকা উভয় শাখায় ষোল শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। রয়েছে সরকার নিবন্ধিত এতিমখানা। রেজি নং সীল-১৩১২/১৭ ও পৌর শহরে অবস্থিত উপজেলার সর্ববৃহৎ জামে মসজিদ। এছাড়াও মাদরাসায় কম্পিউটার
প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, আধুনিক আরবি ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বিভাগ চালু আছে এবং বাংলা ভাষায় সাহিত্য ও তামাদ্দুন বিষয়ক পত্রিকা ‘মাসিক আল ফারুক’ নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। রেজি নং চ-৪৪৭/০৪।
কারিগরী শিক্ষার অন্যান্য বিভাগ প্রক্রিয়াধীন।
কেবল শিক্ষা সেবাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সরকারী-বেসরকারী কল্যাণমূলক যে কোন কর্মসূচি বাস্তবায়নে যেমন জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র, টিকা কর্মসূচী, ত্রাণ বিতরণ, দুর্যোগকালীন সময়ে
আশ্রয় কেন্দ্র, কুরবানীর প্রজেক্ট ইত্যাদি বাস্তবায়ন হয়ে আসছে। এ জামিয়া জনসাধারণের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক হয়ে আছে।
চলতি ২০২৩ সালে ৪ মে হঠাৎ করে মাদরাসার সামনে (পশ্চিম পার্শ্বে) উত্তর-দক্ষিণে অবস্থিত মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সংস্কারকৃত ও রক্ষণাবেক্ষণাধীন সড়ক ও জনপদ বিভাগের এ জায়গাটির উপর অপরিকল্পিত একটি
রাস্তা নির্মাণ নিয়ে বিশ্বনাথ পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে এলাকাবাসী ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দুই দফা বাদানুবাদ শেষে সিলেট জেলা সওজ কর্মকর্তা, বিশ্বনাথ উপজেলা কর্মকর্তা ও থানা প্রশাসনের সরেজমিন
তদন্ত সাপেক্ষে উভয় পক্ষের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে গত ১১ জুন বিষয়টির আপোষ নিষ্পত্তি হয়। উভয় পক্ষকে পরস্পরের প্রতি নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার
সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান সম্প্রতি লন্ডনে গিয়ে বিভিন্ন সভা মঞ্চে বিষয়টির পুনরাবৃত্তি করেন এবং মাদরাসা, মাদরাসা পরিচালনা কমিটি ও আল্লামা শায়খ আশরাফ আলী
বিশ্বনাথী (রহ.) পরিবারকে নিয়ে নানা কটুক্তি ও সম্মানহানিমূলক বক্তব্য রাখেন। এর পূর্বেও তিনি এরূপ কটাক্ষ করে বহু বক্তব্য দিয়েছেন। যা তার লাইভ পেইজ ও গণমাধ্যমে রয়েছে। বিশ্বনাথবাসীর ঐতিহ্যের
স্বারক এই মাদরাসার সুনাম সু-খ্যাতি যাতে ক্ষুণ্ন না হয় এবং তার বক্তব্য শুনে জনগণ যাতে বিভ্রান্ত না হয় এ জন্য আমরা তার অসাড় ও ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নানা অভিযোগের খন্ডন করা যুক্তিসঙ্গত
মনে করছি।
লিখিত ব্যক্তব্যে তিনি আরো বলেন, মুহিবুর রহমান তার একাধিক বক্তব্যে দাবি করছেন, তার বাবা মরহুম হাজি কলমদর আলী মাদানিয়া মাদরাসায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দান করেছেন। কখনো বলছেন এক কোটি টাকা দান
করেছেন, কখনো আবার দাবি করছেন তার বাবা নাকি মাদরাসায় একটি ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন।
বাস্তবতা হলো তার বাবা মরহুম হাজী কলমদার আলী একজন ধার্মিক মানুষ ছিলেন। তিনি এই মাদরাসায় ১৬/১০/১৪০৭ হিজরি/১৯৮৫ সালে হাউজ নির্মাণ বাবত ৩০০০ টাকা, ৫/১০/১৪০৭ হিজরি/১৯৮৫ সালে মরহুম আশরাফ আলী
বিশ^নাথী (রহ.) লন্ডন গমন উপলক্ষে ৪০০০ টাকা, ১৬/০৯/১৪০৯ হিজরি/১৯৮৭ সালে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে রুম নির্মাণ বাবত একলক্ষ টাকা দান করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং এককালীণ ২৫০০০টাকা দান করেন। তারপর তিনি
ইন্তেকালের পর ২৩/০৩/১৪১০ হিজরি/১৯৮৯ সালে তার ছেলে হাবিবুর রহমান বাবার পক্ষ থেকে বাকী ৭৫০০০ টাকা আদায় করেন। এর প্রাপ্তি রশিদ মাদরাসায় সংরক্ষিত রয়েছে। মাদরাসার উত্তর পার্শে ৪ তলা বিশিষ্ট
ভবনের নিচ তলার ৩নং রুমটি তার বাবার নামে দেয়া হয়েছে। উক্ত রুমের সামনে তিনির বাবার নাম ঠিকানা, দানের সনসহ নেইমপ্লেট লাগানো আছে।
কাজেই মেয়র লক্ষ/কোটি টাকা দান করার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও অনুমাননির্ভর দাবি করেন।
বিশ্বনাথ পৌর সভার মেয়র তার একাধিক বক্তব্যে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি, সূরা কমিটিকে নিয়ে মানহানি মূলক নানা রকম কটুক্তি ও অশালিন বক্তব্য দিয়েছেন। যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।
দারুল উলূম দেওবন্দের অনুসারি বিশ্বনাথের এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সংবিধানের আলোকে বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা, দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও
বিশ্বনাথের ৫২ মৌজার ধার্মিক, সচেতন ও শিক্ষানুরাগী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে শূরা কমিটি গঠন করা হয়।
মেয়রের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল আসনে বসে কওমি মাদরাসা বোর্ডের কর্মকর্তা, দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও বিশ্বনাথের প্রতিনিধিত্বশীল বিশিষ্টজনদের নিয়ে তার এমন বক্তব্য অপ্রত্যাশিত,
ন্যাক্কারজনক ও চরম দৃষ্টতাপূর্ণ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল, দেশের বরেণ্য আলেম আল্লামা শায়খ আশরাফ আলী বিশ্বনাথী (রহ.) গোটা আলেম সমাজের অন্যতম রাহবার ছিলেন। শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারে তাঁর অবদান
অনস্বীকার্য। ইসলামের বহুমুখি খেদমতের কারণে তিনি আলেম সমাজ ও ধার্মিক জনগোষ্ঠীর নিকট অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন হয়ে আছেন। তাকে নিয়েও মেয়র নানা অভিযোগ ও অনৈতিক কথা বার্তা বলেছেন। যা অত্যন্ত গৃনিত
ও নিন্দনীয় কাজ। আমরা মেয়রের এমন অসংলগ্ন ও অপরিনামদর্শি বক্তব্যর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আলহাজ হাফিজ হোসাইন আহমদ বিশ্বনাথীকে নিয়েও মেয়র অনেক কুরুচিপূর্ণ অভিযোগ করে বলেন, তিনি নাকি লন্ডন থেকে কোটি কোটি টাকা কালেকশন করে দেশে বাড়ি গাড়ি করছেন। অথচ
বাস্তবতা হলো আলহাজ হাফিজ হোসাইন আহমদ বিশ্বনাথী ১৯৮২ সালে অল্প বয়সে সৌদি আরব গমন করেন। এ সময় তিনি পারিবারিক হাল ধরার পাশাপাশি মাদরাসার নানামুখি কল্যাণে বিভিন্ন রকম আর্থিক ফান্ড গঠন করে
আসছেন।
১৯৮২ ইং থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সৌদি আরব থাকাকালীন সময়েই মাদরাসার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করার মানসিকতা তৈরি করে ফেলেন। অতপর ১৯৯৬ সালে লন্ডন গমন করেন। সেই থেকে অদ্যাবধি লন্ডনেই আছেন। এই
দীর্ঘ সময় ধরে প্রবাসে থাকলেও তিনি নিজের জন্য কিছুই করেননি। এমনকি তিনি দেশে আসলে মাদরাসায় রাত্রি যাপন করেন।
মাদরাসার জন্য দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম আর চিন্তা ফিকির নিয়েই আছেন। মাদরাসার উন্নয়ন সমৃদ্ধিই তার একমাত্র লক্ষ্য জামিয়ার চার তলা বিশিষ্ট, দুইটি পুরাতন ভবনের সংস্কারমূলক কাজ, সাত তলা
বিশিষ্ট দৃষ্টি নন্দন শিক্ষা ভবনের কাজ, চার তলা বিশিষ্ট মার্কেটের কাজ ও মিনারার কাজ চলমান রেখেও জামিয়ার মহিলা শাখার তিন তলা বিশিষ্ট ভবনের তৃতীয় তলার সাড়ে বার হাজার স্কয়ার বিশিষ্ট ছাদের কাজ
গত রমজানের পূর্বে সমাপ্ত করে বাকী কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় ব্যস্ত রয়েছেন। এছাড়াও জামিয়ার উভয় শাখা পরিচালনায় মাসিক ব্যয় হয় প্রায় ১৭ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা। নির্মাণ কাজ ও মাদরাসা পরিচালনাসহ
এই বিশাল ব্যয়ভার বহনে প্রবাসী দ্বীন দরদি ভাই-বোনদের সহযোগিরতার টাকা সংগ্রহসহ ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ টাকা এসে থাকে হাফিজ হুসাইন আহমদ বিশ্বনাথীর মাধ্যমে।
দেশি বিদেশি হিতাকাঙ্খী ভাই-বোনদের দান-সদকা-খয়রাত গ্রহণের জন্য মাদরাসার পাঁচটি খাত রয়েছে। ১ জেনারেল, ২. গোরাবা, ৩. এতিমখানা, ৪. কিতাব ও ৫. মসজিদ ফান্ড। দাতাগণ যে ফান্ডে টাকা দান করেন সে ফান্ডেই খরচ করা হয়যা মাদরাসার হিসাব রক্ষক কর্তৃক হিসাব বিভাগে পরিষ্কারভাবে সংরক্ষিত আছে। প্রতিবছর বার্ষিক জলসার পূর্বে আজাদ দ্বীনি
এদারায়ে তালিম বোর্ডের নির্বাচিত অডিটর ও সরকারি অডিটর দ্বারা অডিট করা হয়। এই অডিট যাচাই বাছাই শেষে মাদরাসা কমিটি অনুমোদন করে থাকে। কমিটির অনুমোদিত রিপোর্ট বার্ষিক জলসায় হাজার হাজার জনতার
সামনে পড়ে শোনানো হয় এবং কপি আকারে বিতরণ করা হয়। এই হিসাব সম্পর্কে জানতে চাইলে যে কেউ তা দেখতে পারবেন। কাজেই মাদরাসার উন্নয়ন ব্যহত করার লক্ষ্যে মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মনোবল দুর্বল করতে
মেয়রের এই দূরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই।
জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথের বর্তমান মুহতামিম মাওলানা শিব্বীর আহমদ বিশ্বনাথী কওমী মাদরাসা থেকে টাইটেল পাশ করার পাশাপাশি সরকারি মাদরাসা থেকে কামিল এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে
মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। দেশ বিদেশে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকা সত্বেও বাবা শায়খে বিশ্বনাথীর নির্দেশে মাদরাসার শিক্ষকতায় তিনি যোগদান করেন এবং মাদরাসার বিভিন্ন কাজকর্মে মনোনিবেশ
করেন।
২০০৫ সালের মে মাসে শায়খে বিশ্বনাথীর ইন্তেকালের পর এলাকাবাসী ও দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরামের পরামর্শে প্রথমে মাদরাসার নায়বে মুহতামিম, পরে মুহতামিম হিসেবে নিযুক্ত হন এবং জামিয়ার উভয় শাখাকে
সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দিন রাত পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সম্পর্কেও মেয়র নানা অভিযোগ ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে মাদরাসামুখি জনগণকে বিপথগামি করতে চাচ্ছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা
জানাই।
একাধিক বক্তব্যে মেয়র আরেকটি অভিযোগ এনেছেন যে, মরহুম হাজি তবারক আলী ও মরহুম হাজি তোতা মিয়ার নাম মাদরাসার কোথাও নাকি লেখা নাই। এই অভিযোগটি ডাহা মিথ্যা ও বানোয়াট।
বাস্তবতা হলো মাদরাসার প্রধান অফিসের সামনে হাজী তবারক আলীর নাম এবং শিক্ষা অফিসের সামনে হাজী তোতা মিয়ার নাম মার্বেল পাথরে খোদাই করে লেখা রয়েছে। তাছাড়া হাজী তোতা মিয়ার ছেলে মাওলানা সালেহ
আহমদ রাজু দীর্ঘ ২২ বছর যাবত এই মাদরাসায় শিক্ষকতা করে আসছেন। বর্তমানেও সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। এবং হাজী তোতা মিয়ার ভাতিজা ও জামিয়ার মহিলা শাখার ভূমিদাতা মরহুম হাজী আব্দুল
খালেকের ছেলে হাফেজ মাওলানা আব্দুস সামাদ মাসুম এই মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন। এছাড়াও মাদরাসার একাডেমিক ভবন, মসজিদ ও মার্কেটের রুম দাতাদের নাম সম্বলিত ডোনার ওয়াল স্থাপিত রয়েছে।
বিশ^নাথ, সিলেটসহ দেশ-বিদেশের প্রবাসী সকল শ্রেণীর মানুষকে মেয়রের কথায় প্রতারিত না হওয়ার জন্য আহবান জানানো হয়। শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে অভিলম্বে তার এসব অহেতুক, বানোয়াট ও মিথ্যাচার
পরিহারের আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা সূরা কমিটির সদস্য হাজী আব্দুল মান্নান, হাজী ফজর আলী, হাজী আব্দুল জলিল জালাল, হাজী শাহাদাত আলী, হাজী তাজ উদ্দিন, হাজী শফিকুর রহমান, হাজী ময়নুর রহমান,
হাফিজ খলিলুর রহমান, আব্দুল মান্নান, শিক্ষানুরাগী আলতাব হোসেন, ইকবাল হোসেন, মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা হাসান বিন ফাহিম, মাওলানা জিয়াউল হক, মাওলানা বিলাল আহমদ প্রমুখ।

ফেসবুকে আমরা

সিলেটের বিশ্বনাথে পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ১১:৩২:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ জুলাই ২০২৩

সিলেটের বিশ্বনাথে জামিয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার কর্তৃপক্ষ পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে। বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন মাদ্রাসা অফিসে অনুষ্ঠিত
হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শিব্বির আহমদ বলেন, জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলূম মাদানিয়া বিশ্বনাথ দেশের প্রাচীনতম ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
মাদরাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেশ বিদেশে ইসলামের বহুমুখি খেদমত আঞ্জাম দিয়ে আসছে।
বালক-বালিকা উভয় শাখায় ষোল শতাধিক শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। রয়েছে সরকার নিবন্ধিত এতিমখানা। রেজি নং সীল-১৩১২/১৭ ও পৌর শহরে অবস্থিত উপজেলার সর্ববৃহৎ জামে মসজিদ। এছাড়াও মাদরাসায় কম্পিউটার
প্রশিক্ষণ, সেলাই প্রশিক্ষণ, আধুনিক আরবি ও ইংরেজি ভাষা শিক্ষা বিভাগ চালু আছে এবং বাংলা ভাষায় সাহিত্য ও তামাদ্দুন বিষয়ক পত্রিকা ‘মাসিক আল ফারুক’ নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে। রেজি নং চ-৪৪৭/০৪।
কারিগরী শিক্ষার অন্যান্য বিভাগ প্রক্রিয়াধীন।
কেবল শিক্ষা সেবাতেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং সরকারী-বেসরকারী কল্যাণমূলক যে কোন কর্মসূচি বাস্তবায়নে যেমন জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনের ভোট কেন্দ্র, টিকা কর্মসূচী, ত্রাণ বিতরণ, দুর্যোগকালীন সময়ে
আশ্রয় কেন্দ্র, কুরবানীর প্রজেক্ট ইত্যাদি বাস্তবায়ন হয়ে আসছে। এ জামিয়া জনসাধারণের বিশ্বাস ও আস্থার প্রতীক হয়ে আছে।
চলতি ২০২৩ সালে ৪ মে হঠাৎ করে মাদরাসার সামনে (পশ্চিম পার্শ্বে) উত্তর-দক্ষিণে অবস্থিত মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সংস্কারকৃত ও রক্ষণাবেক্ষণাধীন সড়ক ও জনপদ বিভাগের এ জায়গাটির উপর অপরিকল্পিত একটি
রাস্তা নির্মাণ নিয়ে বিশ্বনাথ পৌর কর্তৃপক্ষের সাথে এলাকাবাসী ও মাদরাসা কর্তৃপক্ষের দুই দফা বাদানুবাদ শেষে সিলেট জেলা সওজ কর্মকর্তা, বিশ্বনাথ উপজেলা কর্মকর্তা ও থানা প্রশাসনের সরেজমিন
তদন্ত সাপেক্ষে উভয় পক্ষের সাথে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কক্ষে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে গত ১১ জুন বিষয়টির আপোষ নিষ্পত্তি হয়। উভয় পক্ষকে পরস্পরের প্রতি নেতিবাচক অবস্থান থেকে সরে আসার
সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
নিষেধাজ্ঞা সত্বেও বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মুহিবুর রহমান সম্প্রতি লন্ডনে গিয়ে বিভিন্ন সভা মঞ্চে বিষয়টির পুনরাবৃত্তি করেন এবং মাদরাসা, মাদরাসা পরিচালনা কমিটি ও আল্লামা শায়খ আশরাফ আলী
বিশ্বনাথী (রহ.) পরিবারকে নিয়ে নানা কটুক্তি ও সম্মানহানিমূলক বক্তব্য রাখেন। এর পূর্বেও তিনি এরূপ কটাক্ষ করে বহু বক্তব্য দিয়েছেন। যা তার লাইভ পেইজ ও গণমাধ্যমে রয়েছে। বিশ্বনাথবাসীর ঐতিহ্যের
স্বারক এই মাদরাসার সুনাম সু-খ্যাতি যাতে ক্ষুণ্ন না হয় এবং তার বক্তব্য শুনে জনগণ যাতে বিভ্রান্ত না হয় এ জন্য আমরা তার অসাড় ও ভিত্তিহীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নানা অভিযোগের খন্ডন করা যুক্তিসঙ্গত
মনে করছি।
লিখিত ব্যক্তব্যে তিনি আরো বলেন, মুহিবুর রহমান তার একাধিক বক্তব্যে দাবি করছেন, তার বাবা মরহুম হাজি কলমদর আলী মাদানিয়া মাদরাসায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকা দান করেছেন। কখনো বলছেন এক কোটি টাকা দান
করেছেন, কখনো আবার দাবি করছেন তার বাবা নাকি মাদরাসায় একটি ভবন নির্মাণ করে দিয়েছেন।
বাস্তবতা হলো তার বাবা মরহুম হাজী কলমদার আলী একজন ধার্মিক মানুষ ছিলেন। তিনি এই মাদরাসায় ১৬/১০/১৪০৭ হিজরি/১৯৮৫ সালে হাউজ নির্মাণ বাবত ৩০০০ টাকা, ৫/১০/১৪০৭ হিজরি/১৯৮৫ সালে মরহুম আশরাফ আলী
বিশ^নাথী (রহ.) লন্ডন গমন উপলক্ষে ৪০০০ টাকা, ১৬/০৯/১৪০৯ হিজরি/১৯৮৭ সালে সদকায়ে জারিয়া হিসেবে রুম নির্মাণ বাবত একলক্ষ টাকা দান করার প্রতিশ্রুতি দেন এবং এককালীণ ২৫০০০টাকা দান করেন। তারপর তিনি
ইন্তেকালের পর ২৩/০৩/১৪১০ হিজরি/১৯৮৯ সালে তার ছেলে হাবিবুর রহমান বাবার পক্ষ থেকে বাকী ৭৫০০০ টাকা আদায় করেন। এর প্রাপ্তি রশিদ মাদরাসায় সংরক্ষিত রয়েছে। মাদরাসার উত্তর পার্শে ৪ তলা বিশিষ্ট
ভবনের নিচ তলার ৩নং রুমটি তার বাবার নামে দেয়া হয়েছে। উক্ত রুমের সামনে তিনির বাবার নাম ঠিকানা, দানের সনসহ নেইমপ্লেট লাগানো আছে।
কাজেই মেয়র লক্ষ/কোটি টাকা দান করার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও অনুমাননির্ভর দাবি করেন।
বিশ্বনাথ পৌর সভার মেয়র তার একাধিক বক্তব্যে মাদরাসা পরিচালনা কমিটি, সূরা কমিটিকে নিয়ে মানহানি মূলক নানা রকম কটুক্তি ও অশালিন বক্তব্য দিয়েছেন। যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।
দারুল উলূম দেওবন্দের অনুসারি বিশ্বনাথের এই ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের সংবিধানের আলোকে বোর্ডের শীর্ষ কর্মকর্তা, দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও
বিশ্বনাথের ৫২ মৌজার ধার্মিক, সচেতন ও শিক্ষানুরাগী বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে শূরা কমিটি গঠন করা হয়।
মেয়রের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বশীল আসনে বসে কওমি মাদরাসা বোর্ডের কর্মকর্তা, দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম ও বিশ্বনাথের প্রতিনিধিত্বশীল বিশিষ্টজনদের নিয়ে তার এমন বক্তব্য অপ্রত্যাশিত,
ন্যাক্কারজনক ও চরম দৃষ্টতাপূর্ণ। আমরা এর তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি।
জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল, দেশের বরেণ্য আলেম আল্লামা শায়খ আশরাফ আলী বিশ্বনাথী (রহ.) গোটা আলেম সমাজের অন্যতম রাহবার ছিলেন। শিক্ষা ও সমাজ সংস্কারে তাঁর অবদান
অনস্বীকার্য। ইসলামের বহুমুখি খেদমতের কারণে তিনি আলেম সমাজ ও ধার্মিক জনগোষ্ঠীর নিকট অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন হয়ে আছেন। তাকে নিয়েও মেয়র নানা অভিযোগ ও অনৈতিক কথা বার্তা বলেছেন। যা অত্যন্ত গৃনিত
ও নিন্দনীয় কাজ। আমরা মেয়রের এমন অসংলগ্ন ও অপরিনামদর্শি বক্তব্যর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল আলহাজ হাফিজ হোসাইন আহমদ বিশ্বনাথীকে নিয়েও মেয়র অনেক কুরুচিপূর্ণ অভিযোগ করে বলেন, তিনি নাকি লন্ডন থেকে কোটি কোটি টাকা কালেকশন করে দেশে বাড়ি গাড়ি করছেন। অথচ
বাস্তবতা হলো আলহাজ হাফিজ হোসাইন আহমদ বিশ্বনাথী ১৯৮২ সালে অল্প বয়সে সৌদি আরব গমন করেন। এ সময় তিনি পারিবারিক হাল ধরার পাশাপাশি মাদরাসার নানামুখি কল্যাণে বিভিন্ন রকম আর্থিক ফান্ড গঠন করে
আসছেন।
১৯৮২ ইং থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত সৌদি আরব থাকাকালীন সময়েই মাদরাসার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করার মানসিকতা তৈরি করে ফেলেন। অতপর ১৯৯৬ সালে লন্ডন গমন করেন। সেই থেকে অদ্যাবধি লন্ডনেই আছেন। এই
দীর্ঘ সময় ধরে প্রবাসে থাকলেও তিনি নিজের জন্য কিছুই করেননি। এমনকি তিনি দেশে আসলে মাদরাসায় রাত্রি যাপন করেন।
মাদরাসার জন্য দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম আর চিন্তা ফিকির নিয়েই আছেন। মাদরাসার উন্নয়ন সমৃদ্ধিই তার একমাত্র লক্ষ্য জামিয়ার চার তলা বিশিষ্ট, দুইটি পুরাতন ভবনের সংস্কারমূলক কাজ, সাত তলা
বিশিষ্ট দৃষ্টি নন্দন শিক্ষা ভবনের কাজ, চার তলা বিশিষ্ট মার্কেটের কাজ ও মিনারার কাজ চলমান রেখেও জামিয়ার মহিলা শাখার তিন তলা বিশিষ্ট ভবনের তৃতীয় তলার সাড়ে বার হাজার স্কয়ার বিশিষ্ট ছাদের কাজ
গত রমজানের পূর্বে সমাপ্ত করে বাকী কাজ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনায় ব্যস্ত রয়েছেন। এছাড়াও জামিয়ার উভয় শাখা পরিচালনায় মাসিক ব্যয় হয় প্রায় ১৭ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা। নির্মাণ কাজ ও মাদরাসা পরিচালনাসহ
এই বিশাল ব্যয়ভার বহনে প্রবাসী দ্বীন দরদি ভাই-বোনদের সহযোগিরতার টাকা সংগ্রহসহ ব্যয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ টাকা এসে থাকে হাফিজ হুসাইন আহমদ বিশ্বনাথীর মাধ্যমে।
দেশি বিদেশি হিতাকাঙ্খী ভাই-বোনদের দান-সদকা-খয়রাত গ্রহণের জন্য মাদরাসার পাঁচটি খাত রয়েছে। ১ জেনারেল, ২. গোরাবা, ৩. এতিমখানা, ৪. কিতাব ও ৫. মসজিদ ফান্ড। দাতাগণ যে ফান্ডে টাকা দান করেন সে ফান্ডেই খরচ করা হয়যা মাদরাসার হিসাব রক্ষক কর্তৃক হিসাব বিভাগে পরিষ্কারভাবে সংরক্ষিত আছে। প্রতিবছর বার্ষিক জলসার পূর্বে আজাদ দ্বীনি
এদারায়ে তালিম বোর্ডের নির্বাচিত অডিটর ও সরকারি অডিটর দ্বারা অডিট করা হয়। এই অডিট যাচাই বাছাই শেষে মাদরাসা কমিটি অনুমোদন করে থাকে। কমিটির অনুমোদিত রিপোর্ট বার্ষিক জলসায় হাজার হাজার জনতার
সামনে পড়ে শোনানো হয় এবং কপি আকারে বিতরণ করা হয়। এই হিসাব সম্পর্কে জানতে চাইলে যে কেউ তা দেখতে পারবেন। কাজেই মাদরাসার উন্নয়ন ব্যহত করার লক্ষ্যে মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মনোবল দুর্বল করতে
মেয়রের এই দূরভিসন্ধিমূলক বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাই।
জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথের বর্তমান মুহতামিম মাওলানা শিব্বীর আহমদ বিশ্বনাথী কওমী মাদরাসা থেকে টাইটেল পাশ করার পাশাপাশি সরকারি মাদরাসা থেকে কামিল এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে
মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন। দেশ বিদেশে অনেক কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকা সত্বেও বাবা শায়খে বিশ্বনাথীর নির্দেশে মাদরাসার শিক্ষকতায় তিনি যোগদান করেন এবং মাদরাসার বিভিন্ন কাজকর্মে মনোনিবেশ
করেন।
২০০৫ সালের মে মাসে শায়খে বিশ্বনাথীর ইন্তেকালের পর এলাকাবাসী ও দেশ বরেণ্য উলামায়ে কেরামের পরামর্শে প্রথমে মাদরাসার নায়বে মুহতামিম, পরে মুহতামিম হিসেবে নিযুক্ত হন এবং জামিয়ার উভয় শাখাকে
সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য দিন রাত পরিশ্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সম্পর্কেও মেয়র নানা অভিযোগ ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়ে মাদরাসামুখি জনগণকে বিপথগামি করতে চাচ্ছেন। আমরা এর তীব্র নিন্দা
জানাই।
একাধিক বক্তব্যে মেয়র আরেকটি অভিযোগ এনেছেন যে, মরহুম হাজি তবারক আলী ও মরহুম হাজি তোতা মিয়ার নাম মাদরাসার কোথাও নাকি লেখা নাই। এই অভিযোগটি ডাহা মিথ্যা ও বানোয়াট।
বাস্তবতা হলো মাদরাসার প্রধান অফিসের সামনে হাজী তবারক আলীর নাম এবং শিক্ষা অফিসের সামনে হাজী তোতা মিয়ার নাম মার্বেল পাথরে খোদাই করে লেখা রয়েছে। তাছাড়া হাজী তোতা মিয়ার ছেলে মাওলানা সালেহ
আহমদ রাজু দীর্ঘ ২২ বছর যাবত এই মাদরাসায় শিক্ষকতা করে আসছেন। বর্তমানেও সিনিয়র শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। এবং হাজী তোতা মিয়ার ভাতিজা ও জামিয়ার মহিলা শাখার ভূমিদাতা মরহুম হাজী আব্দুল
খালেকের ছেলে হাফেজ মাওলানা আব্দুস সামাদ মাসুম এই মাদরাসায় শিক্ষকতা করছেন। এছাড়াও মাদরাসার একাডেমিক ভবন, মসজিদ ও মার্কেটের রুম দাতাদের নাম সম্বলিত ডোনার ওয়াল স্থাপিত রয়েছে।
বিশ^নাথ, সিলেটসহ দেশ-বিদেশের প্রবাসী সকল শ্রেণীর মানুষকে মেয়রের কথায় প্রতারিত না হওয়ার জন্য আহবান জানানো হয়। শান্তি শৃঙ্খলার স্বার্থে অভিলম্বে তার এসব অহেতুক, বানোয়াট ও মিথ্যাচার
পরিহারের আহবান জানান।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মাদ্রাসা সূরা কমিটির সদস্য হাজী আব্দুল মান্নান, হাজী ফজর আলী, হাজী আব্দুল জলিল জালাল, হাজী শাহাদাত আলী, হাজী তাজ উদ্দিন, হাজী শফিকুর রহমান, হাজী ময়নুর রহমান,
হাফিজ খলিলুর রহমান, আব্দুল মান্নান, শিক্ষানুরাগী আলতাব হোসেন, ইকবাল হোসেন, মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা নূরুল ইসলাম, মাওলানা হাসান বিন ফাহিম, মাওলানা জিয়াউল হক, মাওলানা বিলাল আহমদ প্রমুখ।