ঢাকা ০২:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ব্যারিস্টার নাজির ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে শিশুদের ফ্রি খৎনা প্রদান Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ফাতেমা খাতুন আদর্শ মহিলা মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে বৃদ্ধা ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলার ঘর দখলের অভিযোগ :প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ মাদরাসার ৬৬ তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন ২৮ ডিসেম্বর Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে সংবর্ধনা Logo সিলেটের বিশ্বনাথে হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের ২৯তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় দুই শিক্ষানুরাগীকে সংবর্ধনা Logo বিশ্বনাথে নব নিযুক্ত শিক্ষা অফিসার নাস্তিক মাহমুদুল হক অপসারণ ও অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্টিত Logo ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইসলামী মহাসম্মেলন থেকে ৯ দফা ঘোষণা Logo তাবলিগের রাহবার আলেমরা, অন্য কেউ নয়

কানে ময়লা জমে গেলে যা করবেন

ইসলামিক মিডিয়া ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৫:১০:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩ ১৪৮ বার পঠিত

ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী
আমাদের শ্রবণেন্দ্রিয় কানকে বহিঃকর্ণ, মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণ–এই তিন অংশে ভাগ করা হয়েছে। বহিঃকর্ণের এক-তৃতীয়াংশের দেয়ালের মধ্যকার পরিবর্তিত এপোক্রিন ঘর্ম গ্রন্থি ও সেবাম গ্রন্থির মিশ্রিত
ক্ষরণই সেরুমেন বা ওয়াক্স। যাকে আমরা কানের ময়লা বা খৈল হিসেবে চিনি।
আমাদের শরীরে ইয়ার ওয়াক্সের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা আছে। এই খৈলের বিশেষ গুণ হচ্ছে, এটি পানি প্রতিরোধী এবং এতে এনজাইম থাকে, যা অণুজীব ধ্বংস করে কানের পর্দাকে সুরক্ষিত রাখে। এ ছাড়া এটি কর্ণকুহরের
ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। তবে গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে ময়লা তৈরি হলে তা শক্ত হয়ে বহিঃকর্ণের পুরোটা আটকে গিয়ে কানের পর্দার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাতে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার
আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। ওয়াক্স, অর্থাৎ কানের খৈলের রং সাধারণত খয়েরি। কিন্তু বাতাসের অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তা কখনো কখনো কালো রঙেরও হতে পারে।
ময়লা জমলে যেসব সমস্যা হয়
অনেক সময় কানের খৈল বা ময়লা বেশি শক্ত হয়ে যায়। তখন তা সহজে পরিষ্কার করা যায় না। কানে অতিরিক্ত ময়লা জমলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যেমন
• কানে কম শোনা ও ব্যথা হওয়া
• কান বন্ধ হয়ে যাওয়া
• চুলকানি ও অস্বস্তি
• কানের ভেতর শো শো বা ঝিঁঝি শব্দ হওয়া।
এ সমস্যা যাদের বেশি হয়
যেকোনো বয়সের যে কেউ এ ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারে। তবে শিশু, বয়স্ক এবং যাদের জন্মগতভাবে কানের ছিদ্র ছোট, তারা এ সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
সমস্যায় করণীয়
কোনো কিছু চিবানো কিংবা হাই তোলার সময় স্বাভাবিকভাবে কানের ময়লা বেরিয়ে যায়। এগুলো সাধারণত হালকা ধরনের হয়ে থাকে এবং তা অনুভব করা যায় না। কিন্তু আপনি যদি ময়লার উপস্থিতি অনুভব করতে পারেন, তাহলে
চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। এ রকম হলে কান খোঁচাখুঁচি করবেন না। খৈল থাকা অবস্থায় কান খোঁচাখুঁচি করলে কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে যেতে পারে। তাতে শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে। নাক, কান, গলারোগ বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসকেরা খুব সহজেই কান দেখে বুঝে নিতে পারেন ভেতরের অবস্থা। কানের ভেতরে ময়লা থাকলে তা বের করে দেওয়ারও ব্যবস্থা করবেন আপনার চিকিৎসক। ময়লা খুব শক্ত হয়ে গেলে বের করে আনা একটু কঠিন। সে
ক্ষেত্রে ময়লা নরম করার জন্য কানে অলিভ অয়েল পাঁচ ফোঁটা পাঁচবার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তী ফলোআপে ময়লা বিভিন্ন পদ্ধতিতে বের করে আনা হয়। তবে কানের পর্দা ছিদ্র থাকলে অলিভ অয়েল তেল
দেওয়া যাবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে কানের ময়লা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। সে জন্য বাড়িতে কিছু না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ভালো। তাতে কানের পর্দার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।

ফেসবুকে আমরা

কানে ময়লা জমে গেলে যা করবেন

আপডেট সময় : ০৫:১০:২১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩

ডা. মো. আব্দুল হাফিজ শাফী
আমাদের শ্রবণেন্দ্রিয় কানকে বহিঃকর্ণ, মধ্যকর্ণ ও অন্তঃকর্ণ–এই তিন অংশে ভাগ করা হয়েছে। বহিঃকর্ণের এক-তৃতীয়াংশের দেয়ালের মধ্যকার পরিবর্তিত এপোক্রিন ঘর্ম গ্রন্থি ও সেবাম গ্রন্থির মিশ্রিত
ক্ষরণই সেরুমেন বা ওয়াক্স। যাকে আমরা কানের ময়লা বা খৈল হিসেবে চিনি।
আমাদের শরীরে ইয়ার ওয়াক্সের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা আছে। এই খৈলের বিশেষ গুণ হচ্ছে, এটি পানি প্রতিরোধী এবং এতে এনজাইম থাকে, যা অণুজীব ধ্বংস করে কানের পর্দাকে সুরক্ষিত রাখে। এ ছাড়া এটি কর্ণকুহরের
ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখে। তবে গ্রন্থি থেকে অতিরিক্ত পরিমাণে ময়লা তৈরি হলে তা শক্ত হয়ে বহিঃকর্ণের পুরোটা আটকে গিয়ে কানের পর্দার ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। তাতে শ্রবণশক্তি কমে যাওয়ার
আশঙ্কা তৈরি হতে পারে। ওয়াক্স, অর্থাৎ কানের খৈলের রং সাধারণত খয়েরি। কিন্তু বাতাসের অক্সিজেনের সঙ্গে বিক্রিয়া করে তা কখনো কখনো কালো রঙেরও হতে পারে।
ময়লা জমলে যেসব সমস্যা হয়
অনেক সময় কানের খৈল বা ময়লা বেশি শক্ত হয়ে যায়। তখন তা সহজে পরিষ্কার করা যায় না। কানে অতিরিক্ত ময়লা জমলে বেশ কিছু সমস্যা দেখা দেয়। যেমন
• কানে কম শোনা ও ব্যথা হওয়া
• কান বন্ধ হয়ে যাওয়া
• চুলকানি ও অস্বস্তি
• কানের ভেতর শো শো বা ঝিঁঝি শব্দ হওয়া।
এ সমস্যা যাদের বেশি হয়
যেকোনো বয়সের যে কেউ এ ধরনের সমস্যায় ভুগতে পারে। তবে শিশু, বয়স্ক এবং যাদের জন্মগতভাবে কানের ছিদ্র ছোট, তারা এ সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে।
সমস্যায় করণীয়
কোনো কিছু চিবানো কিংবা হাই তোলার সময় স্বাভাবিকভাবে কানের ময়লা বেরিয়ে যায়। এগুলো সাধারণত হালকা ধরনের হয়ে থাকে এবং তা অনুভব করা যায় না। কিন্তু আপনি যদি ময়লার উপস্থিতি অনুভব করতে পারেন, তাহলে
চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। এ রকম হলে কান খোঁচাখুঁচি করবেন না। খৈল থাকা অবস্থায় কান খোঁচাখুঁচি করলে কানের পর্দা ছিদ্র হয়ে যেতে পারে। তাতে শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে। নাক, কান, গলারোগ বিশেষজ্ঞ
চিকিৎসকেরা খুব সহজেই কান দেখে বুঝে নিতে পারেন ভেতরের অবস্থা। কানের ভেতরে ময়লা থাকলে তা বের করে দেওয়ারও ব্যবস্থা করবেন আপনার চিকিৎসক। ময়লা খুব শক্ত হয়ে গেলে বের করে আনা একটু কঠিন। সে
ক্ষেত্রে ময়লা নরম করার জন্য কানে অলিভ অয়েল পাঁচ ফোঁটা পাঁচবার ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়। পরবর্তী ফলোআপে ময়লা বিভিন্ন পদ্ধতিতে বের করে আনা হয়। তবে কানের পর্দা ছিদ্র থাকলে অলিভ অয়েল তেল
দেওয়া যাবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে কানের ময়লা পরিষ্কারের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে। সে জন্য বাড়িতে কিছু না করে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ভালো। তাতে কানের পর্দার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকবে না।