ঢাকা ০২:০৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ব্যারিস্টার নাজির ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে শিশুদের ফ্রি খৎনা প্রদান Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ফাতেমা খাতুন আদর্শ মহিলা মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে বৃদ্ধা ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলার ঘর দখলের অভিযোগ :প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ মাদরাসার ৬৬ তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন ২৮ ডিসেম্বর Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে সংবর্ধনা Logo সিলেটের বিশ্বনাথে হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের ২৯তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় দুই শিক্ষানুরাগীকে সংবর্ধনা Logo বিশ্বনাথে নব নিযুক্ত শিক্ষা অফিসার নাস্তিক মাহমুদুল হক অপসারণ ও অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্টিত Logo ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইসলামী মহাসম্মেলন থেকে ৯ দফা ঘোষণা Logo তাবলিগের রাহবার আলেমরা, অন্য কেউ নয়

সিলেটের বিশ্বনাথে কৃষকলীগ নেতাকে ধর্ষণ মামলায় হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

ইসলামিক মিডিয়া ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১০:২৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩ ২৩৩ বার পঠিত

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষক লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাহার নামের এক যুবককে প্রভাবশালীরা ধর্ষণ ও মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে শনিবার (২০ মে) দুপুরে বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগীর ছোট ভাই আব্দুল জাহিদ। তিনি পৌর এলাকার চৌধুরীগাঁও গ্রামের মৃত মহরম আলীর পুত্র। বিগত ২০১৯ সালের ২৬ জুন চৌধুরীগাঁওয়ের যুক্তরাজ্য প্রবাসী শুকুর আলীর বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া রিক্সাচালক ইরান উদ্দিনের ১৪ বছর বয়সী কন্যা শিশুকে কে-বা কারা ধর্ষণ করে। এই ঘটনা আমার ভাই আব্দুল কাহার করেছেন বলে সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজুল হক জনৈক নামজুল ইসলাম মকবুলকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। নাজমুল ইসলাম মকবুল সেসময় ‘প্রতিভার কথা’ নামক একটি ফেসবুক পেজে ‘বিষয়টি উদ্বেগজনক’ শিরোনামে লেখেন। এরপর কমেন্টে আমার ভাইকে ধর্ষণকারী হিসেবে নাম লেখা হয়। এই লেখালেখির সংবাদ থেকে ধর্ষণের ঘটনা সাজিয়ে ২০১৯ সালের ৩০ জুন নির্যাতিতার মা আম্বিয়া বেগম (৪০) বাদী হয়ে আমার ভাই আব্দুল কাহারকে একমাত্র অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ২৬/২০১৯)। পরদিন আমার ভাই আব্দুল কাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২০ সালে ২৯ জানুয়ারী এ মামলায় ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টে কাহারের কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় বিশ্বনাথ থানার এসআই রত্না বেগম আমার ভাইকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিতে আদালত বরাবরে আবেদন করেন। গ্রেপ্তারের পর প্রায় সাড়ে ৭ মাস কারাবরণ করে জামিনে বের হন আমার ভাই (কাহার)। লিখিত বক্তব্যে আব্দুল জাহিদ আরো বলেন, অধ্যক্ষ সিরাজুল হক ও তার ভাতিজা মনিরুজ্জামান মনিরের কুপরামর্শে আম্বিয়া বেগম মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে একাধিক মামলা দিয়ে ও বার বার আদালতে নারাজি দিয়ে আমার ভাইকে ও আমার পরিবারকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করছেন। নারাজির প্রেক্ষিতে বিশ্বনাথ উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কমকর্তা আমির হোসেনের নিকট তদন্তভার দেন বিজ্ঞ আদালত। ২০২১ ইং সনের ২৬ জানুয়ারী নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সিলেটের ১৯৮ নং স্মারকমুলে আসা নারাজির আবেদনের তদন্ত শেষে কোন সত্যতা না পেয়ে ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল আমার ভাই আব্দুল কাহারকে নির্দোষ সাব্যস্থ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী আমির হোসেন। বর্তমানে ২০২২ সালের ১৯ জুলাই মিথ্যা মারামারির মামলা (বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং ৪২২/২২ইং) দায়ের করেন। মামলাটি বাদীর বিরুদ্ধে ২১১ ধারা মোতাবেক প্রসিকিউশন দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার এসআই আমিরুল ইসলাম। ওই মামলা পুনরায় তদন্তের জন্য থানায় আসলে উৎকোচ নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার পরিদশক (ওসি) তদন্ত আব্দুস সালাম চলতি বছরের ৬ এপ্রিল আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা চার্জশিট দাখিল করেন।

লিখিত বক্তব্যে আব্দুল জাহিদ আরো বলেন, বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের সাবেক অ্যধক্ষ সিরাজুল হক, তার ভাতিজা মনিরুজ্জামান মনির ও জনৈক নাজমুল ইসলাম মকবুলকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ধর্ষণের সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে এবং আসল ধর্ষককে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। অথবা উনারা কাকে দিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে আমার ভাই (কাহার)’কে ফাঁসাতে চাচ্ছেন তাও বের হয়ে আসবে। এসব ঘটনায় নিরুপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে সু-বিচার কামনা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আব্দুল জাহিদের ভাই উপজেলা কৃষক লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভূক্তভোগী আব্দুল কাহার।

ট্যাগস :

ফেসবুকে আমরা

সিলেটের বিশ্বনাথে কৃষকলীগ নেতাকে ধর্ষণ মামলায় হয়রানীর অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ১০:২৯:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ মে ২০২৩

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা কৃষক লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাহার নামের এক যুবককে প্রভাবশালীরা ধর্ষণ ও মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে শনিবার (২০ মে) দুপুরে বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভূক্তভোগীর ছোট ভাই আব্দুল জাহিদ। তিনি পৌর এলাকার চৌধুরীগাঁও গ্রামের মৃত মহরম আলীর পুত্র। বিগত ২০১৯ সালের ২৬ জুন চৌধুরীগাঁওয়ের যুক্তরাজ্য প্রবাসী শুকুর আলীর বাড়িতে থাকা ভাড়াটিয়া রিক্সাচালক ইরান উদ্দিনের ১৪ বছর বয়সী কন্যা শিশুকে কে-বা কারা ধর্ষণ করে। এই ঘটনা আমার ভাই আব্দুল কাহার করেছেন বলে সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজুল হক জনৈক নামজুল ইসলাম মকবুলকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। নাজমুল ইসলাম মকবুল সেসময় ‘প্রতিভার কথা’ নামক একটি ফেসবুক পেজে ‘বিষয়টি উদ্বেগজনক’ শিরোনামে লেখেন। এরপর কমেন্টে আমার ভাইকে ধর্ষণকারী হিসেবে নাম লেখা হয়। এই লেখালেখির সংবাদ থেকে ধর্ষণের ঘটনা সাজিয়ে ২০১৯ সালের ৩০ জুন নির্যাতিতার মা আম্বিয়া বেগম (৪০) বাদী হয়ে আমার ভাই আব্দুল কাহারকে একমাত্র অভিযুক্ত করে বিশ্বনাথ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ২৬/২০১৯)। পরদিন আমার ভাই আব্দুল কাহারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০২০ সালে ২৯ জানুয়ারী এ মামলায় ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টে কাহারের কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় বিশ্বনাথ থানার এসআই রত্না বেগম আমার ভাইকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিতে আদালত বরাবরে আবেদন করেন। গ্রেপ্তারের পর প্রায় সাড়ে ৭ মাস কারাবরণ করে জামিনে বের হন আমার ভাই (কাহার)। লিখিত বক্তব্যে আব্দুল জাহিদ আরো বলেন, অধ্যক্ষ সিরাজুল হক ও তার ভাতিজা মনিরুজ্জামান মনিরের কুপরামর্শে আম্বিয়া বেগম মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে একাধিক মামলা দিয়ে ও বার বার আদালতে নারাজি দিয়ে আমার ভাইকে ও আমার পরিবারকে অন্যায়ভাবে হয়রানি করছেন। নারাজির প্রেক্ষিতে বিশ্বনাথ উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কমকর্তা আমির হোসেনের নিকট তদন্তভার দেন বিজ্ঞ আদালত। ২০২১ ইং সনের ২৬ জানুয়ারী নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল সিলেটের ১৯৮ নং স্মারকমুলে আসা নারাজির আবেদনের তদন্ত শেষে কোন সত্যতা না পেয়ে ২০২১ সালের ১৩ এপ্রিল আমার ভাই আব্দুল কাহারকে নির্দোষ সাব্যস্থ করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্তকারী আমির হোসেন। বর্তমানে ২০২২ সালের ১৯ জুলাই মিথ্যা মারামারির মামলা (বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং ৪২২/২২ইং) দায়ের করেন। মামলাটি বাদীর বিরুদ্ধে ২১১ ধারা মোতাবেক প্রসিকিউশন দিয়ে বিজ্ঞ আদালতে চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার এসআই আমিরুল ইসলাম। ওই মামলা পুনরায় তদন্তের জন্য থানায় আসলে উৎকোচ নিয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বনাথ থানার পরিদশক (ওসি) তদন্ত আব্দুস সালাম চলতি বছরের ৬ এপ্রিল আমাদের বিরুদ্ধে আদালতে মিথ্যা চার্জশিট দাখিল করেন।

লিখিত বক্তব্যে আব্দুল জাহিদ আরো বলেন, বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের সাবেক অ্যধক্ষ সিরাজুল হক, তার ভাতিজা মনিরুজ্জামান মনির ও জনৈক নাজমুল ইসলাম মকবুলকে আইনের আওতায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ধর্ষণের সঠিক তথ্য বের হয়ে আসবে এবং আসল ধর্ষককে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে। অথবা উনারা কাকে দিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে আমার ভাই (কাহার)’কে ফাঁসাতে চাচ্ছেন তাও বের হয়ে আসবে। এসব ঘটনায় নিরুপায় হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে পরিবারের পক্ষ থেকে সু-বিচার কামনা করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- আব্দুল জাহিদের ভাই উপজেলা কৃষক লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ভূক্তভোগী আব্দুল কাহার।