দরজায় কড়া নাড়ছে রমজান: চূড়ান্ত প্রস্তুতি যেমন হওয়া উচি
- আপডেট সময় : ০৯:৪৭:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৬ মার্চ ২০২৩ ২৯৫ বার পঠিত
আজ ১৩ শাবান। রমজান আমাদের থেকে খুব দূরে নয়। কয়েকদিন পরেই রমজান কড়া নাড়বে আমাদের দরজায়। বরকত ও ফজিলত মাস রমজান। এখন থেকেই উচিত রমজানের প্রস্তুতি নেয়া। আমলের দুর্বলতা ও গুনাহের কারণে যেন রমজানের পূর্ণ ফজিলত ও বরকত থেকে বঞ্চিত না হই। রমজানে যেন আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারি। একজন মুমিন রমজানের প্রস্তুতি কিভাবে নিবে এ বিষয়ে আল-জামিয়াতুল ইসলামিয়া ইদারাতুল উলুমের প্রিন্সিপাল মুফতি মোহাম্মদ আলী বলছেন, প্রথম রাসূল সা. শেখানো দোয়া পড়বে। দোয়াটা হলো- আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবানা ওয়া বাল্লিগনা রামাদান। ‘মানসিক ভাবে রমজানের ফাজায়েলের খেয়াল করবে। আল্লাহ তায়ালা রমজান মাসে প্রত্যেকটা নেককে বাড়িয়ে দেন। নফল এবাদতকে ফরজের সাওয়াব দেন। ফরজ এবাদতকে সত্তরগুন বাড়িয়ে দেয়। রমজান মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টি অন্য মাসের তুলনায় বেশি অর্জন করা যায়। রমজান মাসে একটা রাত আছে। সেটা হাজার রাতের চেয়েও উত্তম। তাই রমজান আসার আগেই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিবে।’ তিনি আরও বলেন, ব্যবসা-বানিজ্য, চাকরি-বাকরি ও অন্যান্য কাজ রমজানের আগে কমিয়ে নেয়া। রমজান এবাদতের মাস। এই মাসে অন্যান্য ব্যস্ততা কমিয়ে বেশি বেশি এবাদত করা উচিত। কিন্তু আমরা এই মাসে কাজ আরও বেশি করি। রমজানকে কেন্দ্র করে ব্যবসা করি। এই মানসিকতা পরিহার করতে হবে। বেশি বেশি এবাদতের জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুতি নিতে হবে। মুফতি মোহাম্মদ আলী বলেন, রমজানের শেষ দশ দিন এতেকাফের নিয়ত করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা। যখন কোন ব্যক্তি কোন কাজের নিয়ত করে তখন তার জন্য কাজ করা সহজ হয়ে যায়। অনেক ব্যস্ত মানুষের জন্যও ব্যস্ততা কমিয়ে এতেকাফ করা সহজ হয়। রাসূল সা. রমজানের দশ দিন অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি এবাদত করতেন। প্রথম দশ দিনের তুলনায় পরের দশ দিন আরও বেশি এবাদত করতেন। শেষ দশ রাসূল সা. এতেকাফে বসতেন। ‘শাবান মাসে বেশি বেশি রোজা রাখতে বলেছেন রাসূল সা.। এর একটা নমুনা ১৫ শাবান দিয়ে শুরু হয়। অভ্যাস করার জন্য বেশি বেশি রোজা রাখার কথা হাদীসে এসেছে।’ এদিকে জামিয়া কারীমিয়া আরাবিয়া রামপুরার শিক্ষাসচিব মুফতি হেমায়েতুল্লাহ কাসেমী বলেছেন, আমরা সারা বছরই কম বেশি গুনাহে লিপ্ত থাকি। তাই রমজানে গুনাহ থেকে বিরত থাকতে চাইলেও গুনাহ হয়ে যায়। গুনাহ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে দুনিয়াবি কাজ কমিয়ে দিতে হবে। দুনিয়াবি কাজ আমাদের গুনাহের প্রতি ধাবিত করে। সেই সাথে আমাদের আমল বাড়াতে। তিনি বলেন, রমজানের প্রস্তুতির মাস শাবান। এ মাসে রাসূল সা.বেশি বেশি রোজা রাখতেন বলেছেন। রাসূল সা. পুরা মাস রোজা রাখতেন। সাহাবায়ে কেরামরাও ২-১টা বাদ দিয়ে সারা মাস রোজা রাখতেন। রোজা আমাদের নফসকে পরিশুদ্ধ করে। হাদীসে এসেছে রোজা হলো গুনাহ থেকে বাঁচার ঢাল। তাই রাসূল সা. এর কথা মেনে আমরা যদি রোজা রাখা শুরু করি। এবং অন্যান্য ব্যস্ততা কমিয়ে দিয়ে এবাদতে মশগুল হই। তাহলে আশা করা যায় রমজান আসতে আসতে আমাদের অবস্থার উন্নতি হবে। এই সময়ে আমরা রোজার পাশাপাশি কুরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ, জিকির আজকার করতে পারি। এবং গুনাহ থেকে বিরত থাকতে বদ্ধ পরিকল্প থাকতে হবে।