নারীজাতির মর্যাদা
- আপডেট সময় : ০৩:৪০:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩ ১৬৫ বার পঠিত
ইসলাম নারী জাতিকে সম্মানের দৃষ্টিতে দেখেছে। ইসলাম আগমনের পূর্বে তৎকালীন সমাজে এবং অন্যান্য ধর্মে নারীদের প্রতি যে অমানবিক আচরণ করা হত, তার চিত্রটা সামনে রাখলে এবং ইসলাম তার প্রতিকার কিভাবে করেছে, তা অনুধাবন করলেই বুঝে আসবে ইসলাম নারী জাতির প্রতি কত অনুগ্রহ করেছে এবংনারী জাতিকে কতটা সম্মানের আসনে সমাসীন করেছে।
তৎকালীন যুগে কন্যা সন্তানকে অপমানজনক মনে করা হত। ফলে কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করলে তাকে জীবন্ত কবর দিয়ে দেয়া হত। এর বিপরীত ইসলাম কন্যা সন্তানকে এতটা মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখেছে যে, হাদীসে এসেছে- যার তিনটা কন্যা সন্তান থাকে বা তিনটা বোন থাকে বা দুটো কন্যা থাকে বা দুটো বোন থাকে, আর সে তাদেরকে সঠিকভাবে লালন পালন করে ও তার ব্যাপারে আল্লাহর ভয় রেখে কাজ করে, তার বিনিময়ে সে জান্নাতে পৌছে যাবে। তিরমিযী)
অন্য এক হাদীসে এসেছে- হযরত উকবা ইবনে আমের রাযি: বয়ান করেন যে, নবী করিম সা: ইরশাদ করেছেন- যার তিনটা কন্যা সন্তান থাকবে আর সে তাদের লালন-পালনের কষ্ট সহ্য করবে এবং সামর্থ অনুযায়ী তাদের ভরণ পোষণ দিবে, কিয়ামতের দিন ঐ কন্যা সন্তানরা তার জন্য জাহান্নামের পথে প্রতিবন্ধক তথা বাধা হয়ে দাঁড়াবে। (ইবনে মাজাহ)
তৎকালীন যুগে নারীদের সাথে অমানবিক আচরণ করা হত। স্বাধীনা নারীদের সাথেও দাসীর মত ব্যবহার করা হত। এর বিপরীত ইসলাম নারীদের সাথে সদ্ব্যবহারের নির্দেশ দিয়েছে। এক হাদীসে নবী করীম সা: ইরশাদ করেছেন-আমি তোমাদেরকে গুরুত্বের সাথে নির্দেশ দিচ্ছি নারীদের সাথে সদ্ব্যবহারে করার। তোমরা আমার এই নির্দেশ গ্রহন কর। (বুখারী)