ঢাকা ১১:৪৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ব্যারিস্টার নাজির ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে শিশুদের ফ্রি খৎনা প্রদান Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ফাতেমা খাতুন আদর্শ মহিলা মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে বৃদ্ধা ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলার ঘর দখলের অভিযোগ :প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ মাদরাসার ৬৬ তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন ২৮ ডিসেম্বর Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে সংবর্ধনা Logo সিলেটের বিশ্বনাথে হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের ২৯তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় দুই শিক্ষানুরাগীকে সংবর্ধনা Logo বিশ্বনাথে নব নিযুক্ত শিক্ষা অফিসার নাস্তিক মাহমুদুল হক অপসারণ ও অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্টিত Logo ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইসলামী মহাসম্মেলন থেকে ৯ দফা ঘোষণা Logo তাবলিগের রাহবার আলেমরা, অন্য কেউ নয়

জুমার দিন শুক্রবারের ফযিলত

ইসলামিক মিডিয়া ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ১০:১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩ ১৫৪ বার পঠিত

জুমআ দিনের ফযিলত: হযরত আবূ হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা: বলেছেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিন সমূহের মধ্যে জুমআর দিনই হল সবচেয়ে উত্তম দিন। এ দিনেই হযরত আদম আ:কে সৃষ্টি করা হয়েছে। অত:পর ঐ দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। আবার ঐ দিনেই তাঁকে তা থেকে বের করা হয়েছে। কেয়ামত কায়েম হবে জুমআর দিনেই। (মুসলিম, মেশকাত পৃ:১১৯)
মালেক, আবু দাউদ এবং তিরমিযীর বর্ণনায় রয়েছে যে, হুজুর সা: বলেছেন, কেয়ামত কায়েম হওয়ার ভয়ে জুমআর দিনে ভোর হতে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত সকল প্রাণীই চিৎকার করতে থাকবে। তবে জিন ও মানুষ ব্যতিত। কারণ তাদের এ সম্বন্ধে গাফেল রাখা হয়েছে।
জুমআর দিন সকল দিনের উত্তম দিন: হযরত আবু লুবাবা ইবনে আব্দুল মুনযির রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সা: বলেছেন, জুমআর দিন সকল দিনের সর্দার দিন। সকল দিন অপেক্ষা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত দিন। উহা কুরবানির দিন ও ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও আল্লাহর নিকট বেশি সম্মানিত। এতে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। ১। এ দিনেই আল্লাহপাক আদমকে সৃষ্টি করেছেন। ২। ঐ আল্লাহ তাকে জমিনে প্রেরণ করেছেন। ৩। ঐ দিনেই তাকে মৃত্যু দিয়েছেন। ৪। ঐ দিনে এমন একটি মুহুর্ত রয়েছে যদি কোন বান্দা সে মুহুর্তে আল্লাহর নিকট কিছু চায় তিনি তাকে অবশ্যই তা দান করবেন। যতক্ষণ না সে হারাম কিছু চায়। ৫। কেয়ামত ঐ দিনেই কায়েম হবে। এমন কোন নৈকট্যপ্রাপ্ত নেই, আসমান নেই, জমিন নেই, বাতাস নেই, পাহাড় নেই ও সমুদ্র নেই যে জুমআর দিন সম্পর্কে ভীত নয়। কি জানি হঠাৎ কেয়ামত হয়ে যায়।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা: বলেছেন, কোনো মুসলমান জুমআর দিনে বা জুমআর রাতে মারা গেলে আল্লাহ তাকে কবরের ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন।
জুমআর দিন উত্তম হওয়ার করণ: জুমআর দিন উত্তম হওয়ার অর্থ হল সপ্তাহের সমস্ত দিনের মধ্যে জুমআর দিন সবচেয়ে উত্তম। নতুবা বছরের সমস্ত দিনের মধ্যে উত্তম দিন হলো আরাফার দিন (৯ই জিলহজ্ব)। এখন যদি জুমআ ও আরাফাহ একই দিনে হয় তাহলে সেটাই হবে সবচেয়ে উত্তম দিন। মোল্লা আলী কারী র. বলেন এ সময়ের হজ্জকে ‘‘হজ্জে আকবর’’ বলা হবে, যা জুমআর দিন ছাড়া অন্যান্য দিনে আদায়কৃত ৭০ হজ্জ থেকে উত্তম। হযরত সাঈদ ইবনে মুসায়িব র. বলেন, জুমআর দিন আল্লাহর নিকট নফল হজ্জ থেকে উত্তম। হযরত ইবনে আব্বাস রা: থেকে মারফুভাবে বর্ণিত আছে যে, জুমআ হল (হজ্জুল মাসাকিন) অর্থাৎ গরীব-মিসকীনদের হজ্জ। (মেরকাত, মাযাহেরে হক)
জুমআর দিন দোয়া কবুলের সময়: হযরত আবু হুরায়রা রা: বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা: বলেছেন-জুমআর দিনে এমন একটি ক্ষণ সময় বা মুহূর্ত রয়েছে, যদি কোনো মুমিন বান্দা তাকে পায় এবং তাতে আল্লাহর নিকট কোনো কল্যাণ চায় তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তাকে তা দান করবেন। (মুত্তাফাকুন আলাইহি, মেশকাত. পৃ:১১৯)
জুমআর নামাজ না পড়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন: হযরত ইবনে উমর এবং হযরত আবু হুরায়রা রা: হতে বর্ণিত। তারা বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সা: কে বলতে শুনেছি, তিনি মিম্বারের কাঠে দাঁড়িয়ে বলেছেন, হয়তো বা লোকেরা জুমআর নামাজ তরক করা হতে বিরত থাকবে, নতুবা আল্লাহর তাদের অন্তরে মোহর মেরে দিবেন। অত:পর তারা নিশ্চিত গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (মুসলিম মেশকাত পৃ:১২১)
জুমআর দিনে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা মসজিদে গমন: হযরত সালমান রা: থেকে বর্নিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা: বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিন গোসল করবে এবং সাধ্যানুযায়ী উত্তমরূপে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা লাভ করবে, অত:পর তার সঞ্চিত তৈল হতে কিছু তৈল মাখবে অথবা ঘরে খোশবু (আতর) থাকলে কিছু খোশবু ব্যবহার করবে তৎপর মসজিদে রওনা হয়ে দুই ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করবে না অত:পর যা তার জন্য নির্ধারিত নফল সুন্নাত নামাজ আছে তা পড়বে এরপর ইমাম যখন খুতবা দিতে থাকেন তখন তা চুপ করে শুনবে, নিশ্চয় তার এ জুমআ ও পূর্ববর্তী জুমআ মধ্যকার সমস্ত সগীরা গুনাহ মাফ করা হবে। (বুখারী ২:৮৪৩, মেশকাত পৃ:১২২)

ট্যাগস :

ফেসবুকে আমরা

জুমার দিন শুক্রবারের ফযিলত

আপডেট সময় : ১০:১১:৫৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৩

জুমআ দিনের ফযিলত: হযরত আবূ হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা: বলেছেন, সূর্য উদিত হওয়ার দিন সমূহের মধ্যে জুমআর দিনই হল সবচেয়ে উত্তম দিন। এ দিনেই হযরত আদম আ:কে সৃষ্টি করা হয়েছে। অত:পর ঐ দিনেই তাঁকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয়েছে। আবার ঐ দিনেই তাঁকে তা থেকে বের করা হয়েছে। কেয়ামত কায়েম হবে জুমআর দিনেই। (মুসলিম, মেশকাত পৃ:১১৯)
মালেক, আবু দাউদ এবং তিরমিযীর বর্ণনায় রয়েছে যে, হুজুর সা: বলেছেন, কেয়ামত কায়েম হওয়ার ভয়ে জুমআর দিনে ভোর হতে সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত সকল প্রাণীই চিৎকার করতে থাকবে। তবে জিন ও মানুষ ব্যতিত। কারণ তাদের এ সম্বন্ধে গাফেল রাখা হয়েছে।
জুমআর দিন সকল দিনের উত্তম দিন: হযরত আবু লুবাবা ইবনে আব্দুল মুনযির রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী করীম সা: বলেছেন, জুমআর দিন সকল দিনের সর্দার দিন। সকল দিন অপেক্ষা আল্লাহর নিকট অধিক সম্মানিত দিন। উহা কুরবানির দিন ও ঈদুল ফিতরের দিন অপেক্ষাও আল্লাহর নিকট বেশি সম্মানিত। এতে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। ১। এ দিনেই আল্লাহপাক আদমকে সৃষ্টি করেছেন। ২। ঐ আল্লাহ তাকে জমিনে প্রেরণ করেছেন। ৩। ঐ দিনেই তাকে মৃত্যু দিয়েছেন। ৪। ঐ দিনে এমন একটি মুহুর্ত রয়েছে যদি কোন বান্দা সে মুহুর্তে আল্লাহর নিকট কিছু চায় তিনি তাকে অবশ্যই তা দান করবেন। যতক্ষণ না সে হারাম কিছু চায়। ৫। কেয়ামত ঐ দিনেই কায়েম হবে। এমন কোন নৈকট্যপ্রাপ্ত নেই, আসমান নেই, জমিন নেই, বাতাস নেই, পাহাড় নেই ও সমুদ্র নেই যে জুমআর দিন সম্পর্কে ভীত নয়। কি জানি হঠাৎ কেয়ামত হয়ে যায়।
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর রা: থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা: বলেছেন, কোনো মুসলমান জুমআর দিনে বা জুমআর রাতে মারা গেলে আল্লাহ তাকে কবরের ফিতনা থেকে রক্ষা করবেন।
জুমআর দিন উত্তম হওয়ার করণ: জুমআর দিন উত্তম হওয়ার অর্থ হল সপ্তাহের সমস্ত দিনের মধ্যে জুমআর দিন সবচেয়ে উত্তম। নতুবা বছরের সমস্ত দিনের মধ্যে উত্তম দিন হলো আরাফার দিন (৯ই জিলহজ্ব)। এখন যদি জুমআ ও আরাফাহ একই দিনে হয় তাহলে সেটাই হবে সবচেয়ে উত্তম দিন। মোল্লা আলী কারী র. বলেন এ সময়ের হজ্জকে ‘‘হজ্জে আকবর’’ বলা হবে, যা জুমআর দিন ছাড়া অন্যান্য দিনে আদায়কৃত ৭০ হজ্জ থেকে উত্তম। হযরত সাঈদ ইবনে মুসায়িব র. বলেন, জুমআর দিন আল্লাহর নিকট নফল হজ্জ থেকে উত্তম। হযরত ইবনে আব্বাস রা: থেকে মারফুভাবে বর্ণিত আছে যে, জুমআ হল (হজ্জুল মাসাকিন) অর্থাৎ গরীব-মিসকীনদের হজ্জ। (মেরকাত, মাযাহেরে হক)
জুমআর দিন দোয়া কবুলের সময়: হযরত আবু হুরায়রা রা: বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা: বলেছেন-জুমআর দিনে এমন একটি ক্ষণ সময় বা মুহূর্ত রয়েছে, যদি কোনো মুমিন বান্দা তাকে পায় এবং তাতে আল্লাহর নিকট কোনো কল্যাণ চায় তাহলে আল্লাহ অবশ্যই তাকে তা দান করবেন। (মুত্তাফাকুন আলাইহি, মেশকাত. পৃ:১১৯)
জুমআর নামাজ না পড়ার প্রতি ভীতি প্রদর্শন: হযরত ইবনে উমর এবং হযরত আবু হুরায়রা রা: হতে বর্ণিত। তারা বলেন, আমরা রাসুলুল্লাহ সা: কে বলতে শুনেছি, তিনি মিম্বারের কাঠে দাঁড়িয়ে বলেছেন, হয়তো বা লোকেরা জুমআর নামাজ তরক করা হতে বিরত থাকবে, নতুবা আল্লাহর তাদের অন্তরে মোহর মেরে দিবেন। অত:পর তারা নিশ্চিত গাফেলদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (মুসলিম মেশকাত পৃ:১২১)
জুমআর দিনে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা মসজিদে গমন: হযরত সালমান রা: থেকে বর্নিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা: বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমআর দিন গোসল করবে এবং সাধ্যানুযায়ী উত্তমরূপে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা লাভ করবে, অত:পর তার সঞ্চিত তৈল হতে কিছু তৈল মাখবে অথবা ঘরে খোশবু (আতর) থাকলে কিছু খোশবু ব্যবহার করবে তৎপর মসজিদে রওনা হয়ে দুই ব্যক্তির মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করবে না অত:পর যা তার জন্য নির্ধারিত নফল সুন্নাত নামাজ আছে তা পড়বে এরপর ইমাম যখন খুতবা দিতে থাকেন তখন তা চুপ করে শুনবে, নিশ্চয় তার এ জুমআ ও পূর্ববর্তী জুমআ মধ্যকার সমস্ত সগীরা গুনাহ মাফ করা হবে। (বুখারী ২:৮৪৩, মেশকাত পৃ:১২২)