এশরাক এবং চাশতের নামাযের ফজিলত
- আপডেট সময় : ০৩:৫৯:১৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩ ১৫৯ বার পঠিত
হযরত আনাস রা: থেকে বর্ণিত। তিবি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা: বলেছেন: যে ব্যক্তি জামাতে ফজরের নামাজ পড়ে সূর্য উঠা পর্যন্ত বসে আল্লাহর জিকির করে অত:পর দুই রাকাত (এশরাকের) নামাজ পড়ে, তার জন্য একটি হজ্ব ও একটি ওমরার ছওয়াব রয়েছে। রাবী বলেন: রাসুলুল্লাহ সা: একথাটি তিন বার বলেছেন: পূর্ণ হজ্ব ও উমরার, পূর্ণ হজ্ব ও উমরার, পূর্ণ হজ্ব ও উমরার। (তিরমিযি পৃ:৭৬, মেশকাত পৃ:৮৯)
কেন এ প্রভূত ছওয়াব: মোল্লা আলী কারী রহ: হজ্ব ও উমরার ছওয়াব পাওয়ার কারণ সম্পর্কে বলেন, ফজরের নামাজ জামাতের সাথে আদায় করার কারণে সে হজ্বের ছাওয়াব পায়। আর উমরার ছওয়াব পায় নফল নামাজ আদায় করার দরুন।
মুদাওয়ানা গ্রন্থে ইমাম মালেক রহ. থেকে নকল করা হয়েছে যে, ফজরের নামাজের পর সূর্য উদিত হওয়া পর্যন্ত কথাবার্তা বলা মাকরূহ। দূররে মুখতার গ্রন্থ প্রণেতা ও এ সময় কথাবার্তা বলাকে মাকরূহ বলেছেন।
হাদীসে বর্ণিত নামাজকে এশরাকের নামাজ বলে। অনেক রেওয়ায়াতে এটার নাম সালাতুয্যুহাও এসেছে। এই সালাতুয্যুহায় উলামাদের বহু এখতেলাফ রয়েছে। কেউ কেউ এর সংখ্যা আট বলে উল্লেখ করেছেন। হানাফী মাযহাবে এ নামাজ মুস্তাহাব। উনিশ জন সাহাবী থেকে এ নামাজের ব্যাপারে হাদীসে এসেছে। অপর এক হাদীসে রয়েছে যে, মানুষের মধ্যে তিনশ ষাট (৩৬০) টি জোড়া রয়েছে। প্রত্যেক জোড়ার ওপর প্রতিদিন এক সদকা আবশ্যক। অর্থাৎ এ শুকরিয়া যে, আল্লাহপাক তাকে সুস্থ ও ভাল রেখে সচল অবস্থায় আপন স্থানে স্থাপিত রেখেছেন। হুজুর সা: বলেছেন: চাশতের দুই রাকাত নামাজ এ ৩৬০টি জোড়ার সবকটির পক্ষ থেকে সদকা হয়ে যায়। আর বেশির কোনো সীমারেখা নেই। কিন্তু নবী করীম সা: থেকে বার রাকাত পড়া প্রমাণিত আছে।
হযরত আবু দারদা ও আবু যর রা: থেকে বর্ণিত তারা বলেন- রাসুলুল্লাহ সা: আল্লাহর পক্ষ হতে বলেছেন: আল্লাহ বলেন, হে আদম সন্তান! তুমি আমার জন্য চার রাকআত নামাজ পড় দিনের প্রথমাংশে। আমি তোমার জন্য যথেষ্ট হবো তার শেষাংশে। (তিরমিযী, মেশকাত: পৃ:১১৬)