ঢাকা ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ব্যারিস্টার নাজির ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে শিশুদের ফ্রি খৎনা প্রদান Logo সিলেটের বিশ্বনাথে ফাতেমা খাতুন আদর্শ মহিলা মাদরাসার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে বৃদ্ধা ক্যান্সার আক্রান্ত মহিলার ঘর দখলের অভিযোগ :প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo জামিয়া মাদানিয়া বিশ্বনাথ মাদরাসার ৬৬ তম বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন ২৮ ডিসেম্বর Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ীকে সংবর্ধনা Logo সিলেটের বিশ্বনাথে হুফফাজুল কুরআন ফাউন্ডেশনের ২৯তম হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণ সম্পন্ন Logo সিলেটের বিশ্বনাথে আল মাদরাসাতুল হানাফিয়ায় দুই শিক্ষানুরাগীকে সংবর্ধনা Logo বিশ্বনাথে নব নিযুক্ত শিক্ষা অফিসার নাস্তিক মাহমুদুল হক অপসারণ ও অবাঞ্ছিত ঘোষনা করে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্টিত Logo ওলামা মাশায়েখ বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ইসলামী মহাসম্মেলন থেকে ৯ দফা ঘোষণা Logo তাবলিগের রাহবার আলেমরা, অন্য কেউ নয়

আকীকার মাসআলা মাসায়েল

ইসলামিক মিডিয়া ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩ ১৭৬ বার পঠিত

১। ছেলে বা মেয়ে জন্মের পর সপ্ত দিবসে আকীকা করা মোস্তাহাব। সপ্তম দিবসে না করতে পারলে যখনই করুক না কেন যে বারে সন্তান জন্ম নিয়েছে তার আগের দিন করবে। যেমন শনিবার সন্তান হয়ে থাকলে শুক্রবার আকীকা করবে, তাহলেও এক রকমে সপ্তম দিবসে আকীকা করা হবে; এটাই উত্তম। এ ছাড়াও যে কোন দিন ইচ্ছা করা যায়।
২। সন্তান বালেগ হওয়ার পরও আকীকা করা দুরস্ত আছে, তবে মৃত্যুর পর আকীকা নেই।
৩। আকীকা করা দ্বারা সন্তানের বালা মুসীবত দূর হয় এবং যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকে।
৪। ছেলে হলে আকীকায় দুইটি বকরী বা ভেড়া উত্তম, আর মেয়ে হলে একটি বকরী বা ভেড়া। কিংবা কুরবানীর গরু ইত্যাদি বড় পশুর মধ্যে ছেলের জন্য দুই অংশ নেয়া উত্তম আর মেয়ের জন্য এক অংশ। ছেলের পক্ষ থেকে একটি বকরী বা কুরবানীর এক অংশ দ্বারা আকীকা করলেও চলবে। আর আকীকা না করলেও কোন দোষ নেই। তবে আকীকা করা সুন্নাত।
৫। কেউ মনে করতে পারে, ছেলের জন্য আকীকার পরিমাণ বেশী আর মেয়ের জন্য আকীকার পরিমাণ কম রাখার দ্বারা বোঝা যায় মেয়েদেরকে একটু খাটো করে দেখা হয়েছে। আসলে তা নয়। আকীকা হল সন্তানের আপদ বিপদ দূর করার জন্য। আর মেয়ের তুলনায় ছেলেরা বাইরে ঘোরাফেরা বেশী করবে, তাদের কাজের ক্ষেত্র থাকবে সাধারণত বাহিরে। তাই তাদের বিপদের ঝুকিও বেশী। এজন্যেই বালা মুসীবত দূর করার উপকরণ অর্থৎ আকীকার পরিমাণটাও বেশী রাখা হয়েছে।
৬। যে জন্তু দ্বারা কুরবানী করা যায় তার দ্বারাই আকীকা করা যায়।
৭। সন্তানের মাথা মুণ্ডনোর জন্য মাথায় খুর/ব্লেড রাখার সাথে সাথে আকীকার পশু যবেহ করতে হবে-এরূপ ধারণা ভুল এবং এটা বেহুদা রছুম।
৮। আকীকার গোশত-মাতা-পিতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, সহ সকলেই ভক্ষণ করতে পারবে।
৯। আকীকার গোশত কাঁচা ভাগ করে দেওয়া বা রান্না করে ভাগ করে দেয়া বা দাওয়াত করে খাওয়ানো সবই জায়িজ আছে।
১০। কোন কোন ফকীহ বলেছেন, আকীকার পশুর চামড়া বিক্রি করলে তার মূল্য দান করে দেওয়া উচিত। যদিও এ ব্যাপারে কুরবানীর চামড়ার অর্থের ন্যায় অত কড়াকড়ি নেই।

ট্যাগস :

ফেসবুকে আমরা

আকীকার মাসআলা মাসায়েল

আপডেট সময় : ০৯:২৪:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৯ জানুয়ারী ২০২৩

১। ছেলে বা মেয়ে জন্মের পর সপ্ত দিবসে আকীকা করা মোস্তাহাব। সপ্তম দিবসে না করতে পারলে যখনই করুক না কেন যে বারে সন্তান জন্ম নিয়েছে তার আগের দিন করবে। যেমন শনিবার সন্তান হয়ে থাকলে শুক্রবার আকীকা করবে, তাহলেও এক রকমে সপ্তম দিবসে আকীকা করা হবে; এটাই উত্তম। এ ছাড়াও যে কোন দিন ইচ্ছা করা যায়।
২। সন্তান বালেগ হওয়ার পরও আকীকা করা দুরস্ত আছে, তবে মৃত্যুর পর আকীকা নেই।
৩। আকীকা করা দ্বারা সন্তানের বালা মুসীবত দূর হয় এবং যাবতীয় বিপদ-আপদ থেকে নিরাপদ থাকে।
৪। ছেলে হলে আকীকায় দুইটি বকরী বা ভেড়া উত্তম, আর মেয়ে হলে একটি বকরী বা ভেড়া। কিংবা কুরবানীর গরু ইত্যাদি বড় পশুর মধ্যে ছেলের জন্য দুই অংশ নেয়া উত্তম আর মেয়ের জন্য এক অংশ। ছেলের পক্ষ থেকে একটি বকরী বা কুরবানীর এক অংশ দ্বারা আকীকা করলেও চলবে। আর আকীকা না করলেও কোন দোষ নেই। তবে আকীকা করা সুন্নাত।
৫। কেউ মনে করতে পারে, ছেলের জন্য আকীকার পরিমাণ বেশী আর মেয়ের জন্য আকীকার পরিমাণ কম রাখার দ্বারা বোঝা যায় মেয়েদেরকে একটু খাটো করে দেখা হয়েছে। আসলে তা নয়। আকীকা হল সন্তানের আপদ বিপদ দূর করার জন্য। আর মেয়ের তুলনায় ছেলেরা বাইরে ঘোরাফেরা বেশী করবে, তাদের কাজের ক্ষেত্র থাকবে সাধারণত বাহিরে। তাই তাদের বিপদের ঝুকিও বেশী। এজন্যেই বালা মুসীবত দূর করার উপকরণ অর্থৎ আকীকার পরিমাণটাও বেশী রাখা হয়েছে।
৬। যে জন্তু দ্বারা কুরবানী করা যায় তার দ্বারাই আকীকা করা যায়।
৭। সন্তানের মাথা মুণ্ডনোর জন্য মাথায় খুর/ব্লেড রাখার সাথে সাথে আকীকার পশু যবেহ করতে হবে-এরূপ ধারণা ভুল এবং এটা বেহুদা রছুম।
৮। আকীকার গোশত-মাতা-পিতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, সহ সকলেই ভক্ষণ করতে পারবে।
৯। আকীকার গোশত কাঁচা ভাগ করে দেওয়া বা রান্না করে ভাগ করে দেয়া বা দাওয়াত করে খাওয়ানো সবই জায়িজ আছে।
১০। কোন কোন ফকীহ বলেছেন, আকীকার পশুর চামড়া বিক্রি করলে তার মূল্য দান করে দেওয়া উচিত। যদিও এ ব্যাপারে কুরবানীর চামড়ার অর্থের ন্যায় অত কড়াকড়ি নেই।