সংবাদ শিরোনাম ::
বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, মানুষ পায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চুরের খনি —–বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান
ইসলামিক মিডিয়া ২৪ ডেস্ক :
- আপডেট সময় : ১১:৫৭:৫১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১১২ বার পঠিত
শাহিন উদ্দিন:
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশকে স্বাধীন করেছিলেন জাতির অন্ন, বস্ত্র, বাসস্হান, শিক্ষা চিকিৎসা, মানুষের নিরাপত্তা, বাকস্বাধীনতা অর্থাৎ জনগণের সার্বিক মুক্তি ও অধিকার আদায়ের জন্য। তিনি জীবনে অনেক ত্যাগ ও সংগ্রাম করেছেন। তার মেয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পিতার রেখে যাওয়া সেই অসমাপ্ত কাজ ও আদর্শ বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। আর মুক্তিযোদ্ধারা
শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে পশ্চিম পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে এদেশকে স্বাধীন করেছে।
কথা গুলো বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধের ৫ নম্বর সেক্টরের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান সাংবাদিক
মোঃ শাহিন উদ্দিনকে ১৮ ডিসেম্বর রবিবার বিকেলে বিশ্বনাথস্থ তার বাসভবনে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযোদ্ধের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে উপরোক্ত কথা গুলো তিনি ব্যক্ত করেন।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান আরোও বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, মানুষে পায় সোনার খনি আর আমি পেয়েছি চুরের খনি, সাত কোটি কম্বল আমি এনেছি আমার কম্বল গেল কোথায়? আমার চারদিকে চোর!
এই মুক্তিযোদ্ধা তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন,
যে লক্ষ নিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল সেই স্বাধীনতার স্বাদ আমারা কি আজ পরিপূর্ণ পেয়েছি?
তিনি দুঃখ করে বলেন, আমার মেয়ে এম এ পাশ করেছে এবং একাধিক ইন্টারভিউ দিয়েছে কিন্তু চাকুরী হয়না! অথচ আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা।
আব্দুল মান্নান বলেন, বিশ্বনাথের একজন ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তার নাম হচ্ছে তোতা মিয়া। বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহান এই ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ে তদন্ত করে তার ভূয়ার সততাও পেয়েছেন। কিন্তু তার এখনোও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় নামও রয়েছে এবং তিনি সরকার থেকে যাবতীয় ভাতা সুযোগ সুবিধাও পাচ্ছেন! এটার জন্য তিনি তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
তিনি জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অর্থনৈতিক ভাবে সম্মানিত ও মূল্যায়ন করারর জন্য।
মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান, ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যোদ্ধে ৫ নম্বর সেক্টরের অধীনে ( দোয়ারাবাজারের হক নগর বাঁশতলা) সরাসরি মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। তার সেক্টর কমান্ডার ছিলেন, মেজর মীর শওকত হোসেন।
তিনি ভারতের মেঘালয় প্রদেশে ৩ নং বেইসে ট্রেনিংনেন। ট্রেনিং শেষে তিনি মহান মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণ করেন। মুক্তিযোদ্ধ শেষে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদেন। বর্তমানে অবসর জীবন যাপন করছেন।
মহান স্বাধীনতা যোদ্ধের সর্বাধিনায়ক মেজর জেনারেল আতাউল গণী ওসমানী ও মুক্তিযোদ্ধের সেক্টর কমান্ডার ও মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান ও মুক্তিযোদ্ধে অংশ গ্রহণকারী ও সকল শহিদের নাম শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান।
১৯৭১ সালে তিনি বিশ্বনাথ রামসুন্দর উচ্চ বিদ্যালয়ে যখন ক্লাশ দশমে লেখাপড়া করেন তখন তিনি মুক্তিযোদ্ধে যোগদেন। মরহুম তজমুল আলী স্যার ও মরহুম নেছার আলী স্যার তার শিক্ষক বলে জানান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নানের পিতা মৃত তাহির আলী, মাতা – আলেকজান বিবি, তার দুই ছেলে ও ৭ মেয়ে। বয়স তার৭০।
গ্রাম – উত্তর দৌলতপুর, ইউনিয়ন দৌলতপুর, বিশ্বনাথ সিলেট।
মুক্তিযোদ্ধে তার কমান্ডিং অফিসার ছিলেন কেপ্টেন হেলাল।