তাওবা এস্তগফারের নিয়ম পদ্ধতি:
- আপডেট সময় : ১২:৪০:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ১৩৭ বার পঠিত
ইসলামিক মিডিয়া রিপোর্ট: তাওবা অর্থ গোনাহ থেকে আনুগত্যের দিকে এবং গাফলত থেকে আল্লাহর স্মরণের দিকে ফিরে আসা। আর এস্তেগফার অর্থ ক্ষমা চাওয়া। প্রত্যেক বান্দার উপর তার পাপ থেকে তাওবা এস্তেগফার করা ওয়াজিব।
তাওবার জন্য মোট ৫টি কাজ করতে হবে।
১. খাঁটি অন্তরে তাওবা করতে হবে। অর্থাৎ শুধুমাত্র আল্লাহর আযাবের ভয় ও তাঁর নির্দেশের মহত্বকে সামনে রেখে তাওবা করতে হবে।
২. অতীতে পাপের প্রতি অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে।
৩. উক্ত পাপ থেকে এখনই বিরত হতে হবে।
৪. ভবিষ্যতে উক্ত পাপ না করার জন্য মনে মনে দৃঢ় সংকল্প করতে হবে।
৫. আল্লাহর হক বা বান্দার হক নষ্ট হয়ে থাকলে তার সংশোধন ও প্রতিকার করতে হবে। যেমন- নামায, রোজা, হজ্ব, যাকাত ইত্যাদি আল্লাহর হক আদায় না করে থাকলে তা আদায় করতে হবে। আর বান্দার হকের মধ্যে অর্থ সম্পদ বিষয়ক হক নষ্ট করে থাকলে উক্ত অর্থ বা উক্ত পরিমাণ অর্থ হকদারের নিকট বা তার মৃত্যু হয়ে থাকলে তার উত্তরাধিকারীর নিকট ফেরত দিতে হবে। আর সম্ভব না হলে তাদের থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে। আর অর্থ সম্পদ ব্যতীত অন্য কোন হক নষ্ট করে থাকলে যেমন গীবত বা গালি গালাজ করে থাকলে বা মুখে কিংবা কথায় কষ্ট দিয়ে থাকলে তার থেকে মাফ করিয়ে নিতে হবে। কোন ফিতনার আশংকা না থাকলে উক্ত অন্যায় উল্লেখ পূর্বক ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। অন্যথায় অন্যায় উল্লেখ করা ছাড়াই ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। তার মধ্যেও ফেতনার আশংকা থাকলে শুধু আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। আর হকদার ব্যক্তি মৃত হলে তা উদ্দেশ্যে কিছু সদকা করে দিবে।
বি:দ্র: উপরোল্লেখিত পাঁচটি বিষয় পূর্ণ করা ব্যতীত শুধু গুানুগতিক ভাবে মুখে তাওবা/এস্তেগফারের বাক্য আওড়ালেই তাওবা হয়ে যায় না। যদিও শুধু তাওবার বাক্য মুখে আওড়ানোটাও ফায়দা থেকে খালি নয়।